বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জাতীয় শোক দিবস পালন

বাংলাদেশ থেকে ছেড়ে যাওয়া বিমানের প্রতিটি বহির্গামী ও আগমনী ফ্লাইটে মঙ্গলবার জাতীয় শোক দিবসের ঘোষণা প্রচারের মধ্য দিয়ে শোক দিবস পালন শুরু করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বিমানের প্রধান কার্যালয়, মতিঝিল বিক্রয় অফিসসহ, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক স্টেশনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় এবং শোক ব্যানার স্থাপন করা হয়। বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পাশাপাশি ফ্লাইটের সব ক্রু শোক ব্যাজ ধারণ করেন।

বিমানের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। জাতির পিতা ও তার পরিবারসহ এ ঘটনায় শাহাদত বরণকারী সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ১৫ আগস্ট বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে প্রধান কার্যালয় বলাকা ও ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকার লবিতে আমাদের বঙ্গবন্ধু শীর্ষক ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের ওপর আলোচনার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম এবং সভাপতিত্ব করেন বিমানের পরিচালক প্রশাসন ও মানবসম্পদ (যুগ্মসচিব) মো. ছিদ্দিকুর রহমান। এ ছাড়া বিমানের পরিচালক, বিমানের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি এবং সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শফিউল আজিম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে বিদেশি শক্তির শোষণ ও দাসত্ব থেকে মুক্ত করে স্বাধীন, স্বার্বভৌম ও অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি ব্যক্তি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে কাছে টেনে নিয়েছিলেন। দুর্নীতি, ঘুস-সুদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। যে মহান নেতার নেতৃত্বে দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে একটি স্বাধীন দেশের অভ্যুদয় ঘটলো, তাকেই দেশি-বিদেশি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী নির্মমভাবে হত্যা করলো। উন্নত দেশগুলো বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফেরত না পাঠাতে আইনের বেড়াজাল তৈরি করেছে, অথচ তারাই আইন ভঙ্গ করে স্বাধীন দেশসমূহের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে থাকে। জাতির পিতার যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব প্রতিকূলতাকে মোকাবিলা করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ১৫ আগস্ট বাদ জোহর জাতির পিতা ও তার পরিবারসহ এ ঘটনায় শাহাদতবরণকারী সবার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিমানের সব মসজিদে দোয়া ও মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দুপুরে ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত সরকারি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টার (বিএফসিসি) থেকে খাবার সরবরাহ করা হয়।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.