বন্ড আইটেমের প্রাপ্যতা ৬ গুণ বৃদ্ধিতে বিমানের চিঠি

যাত্রী পরিবহন ব্যয় ও পণ্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অনুকূলে বন্ড আইটেমসমূহের বার্ষিক আমদানি প্রাপ্যতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থাটি।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে পাঠানো এক চিঠিতে আমদানি প্রাপ্যতা চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কমপক্ষে আড়াই লাখ ডলার করার অনুরোধ জানিয়েছে বিমান।

সম্প্রতি বিমানের পরিচালক মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম সই করা চিঠিতে বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের অধিদপ্তর থেকে ইস্যুকৃত অবাধ/ব্লাংকেট আমদানি অনুমতিপত্রের বিপরীতে বিভিন্ন ধরনের আমদানিকৃত পণ্য বন্ডের আওতায় খালাস গ্রহণ করে।

এতে আরও বলা হয়, পূর্বে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে বিক্রয়যোগ্য সিগারেটসহ অন্যান্য পণ্যের প্রাপ্যতার প্রয়োজন হয়নি। গত বছর ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখ থেকে বিমানকর্তৃক সিগারেট আমদানি করা হলে তার কাস্টমস খালাসের বিপরীতে কাস্টম হাউস, ঢাকা থেকে প্রাপ্যতা চাওয়া হয়। তখন তিন লাখ মার্কিন ডলারের প্রাপ্যতা চাওয়া হয়েছিল।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অনুকূলে মাত্র ৪২ হাজার ১৮৭ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলারের প্রাপ্যতা দেওয়া হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়, এরই মধ্যে ভিভিআইপি ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে বিক্রির জন্য মোট ২৩ হাজার ২৪ দশমিক ১০ মার্কিন ডলারের বন্ডের পণ্য আমদানি করা হয়। যা চলতি বছরের জুনে খালাস করা হয়।

অবশিষ্ট ১৯ হাজার ১৬৩ দশমিক ৪০ মার্কিন ডলার প্রাপ্যতা দিয়ে সিগারেট আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হলেও প্রাপ্যতার পরিমাণ কম থাকায় তা সম্ভব হয়নি। কারণ, সিগারেট প্যাকেজ হিসেবে আমদানি করা হয়, যার প্রতি প্যাকেজের ন্যূনতম পূর্বমূল্য ২৭ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার এবং বর্তমানে আনুমানিক প্যাকেজ মূল্য ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। যা সরবরাহকারী ই-মেইলে অবহিত করেছেন। বছরে সিগারেটের ৬ থেকে ৭টি প্যাকেজ বা চালান আমদানির প্রয়োজন হয়।

বিমান ফ্লাইটে যাত্রীসংখ্যা পূর্বের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সিগারেট ও অন্যান্য পণ্যের মূল্য বিশ্ববাজারে বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় পতাকাবাহী রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অনুকূলে বন্ড আইটেমসমূহের বার্ষিক আমদানি প্রাপ্যতা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য কমপক্ষে দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার মার্কিন ডলার প্রদানের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

চিঠিতে আরও বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে যাত্রীসেবা ও বিদেশি অন্যান্য এয়ারলাইন্সের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে একমাত্র আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে যাত্রীদের কাছে আমদানিকৃত বন্ডেড পণ্য বৈদেশিক মুদ্রায় বিক্রয় করার প্রচলন পূর্ব থেকে বিদ্যমান। বিধি অনুযায়ী ১২টি ডিউটি ফ্রি আইটে আমদানি, সংরক্ষণ, বিক্রিত এবং অবিক্রিত আইটেমসমূহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে কেস টু কেসের ভিত্তিতে পুনঃরপ্তানির অনুমতি রয়েছে বিমানের।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.