রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত এক পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। শনিবার বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল থেকে প্রতিনিধি জানান, বিকালে পুলিশের উর্দি পরা এক ব্যক্তিকে গুরুতর আহতাবস্থায় ঢামেকে আনা হয়। তার উর্দিটি ছিন্ন বিচ্ছিন্ন ছিল। মাথা থ্যাঁতলানো দেখা গেছে। পরে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে কাকরাইল, বিজয়নগরসহ কয়েকটি এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় সাংবাদিকসহ গুলিবিদ্ধ অন্তত ২৫ জন ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছে বলে খবর আসছে।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো বাচ্চু মিয়া জানান, এ পর্যন্ত পথচারী, সাংবাদিক, পুলিশ ও আন্দোলনকারীসহ ৪০ জন চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে এসেছেন।
আহতরা হচ্ছেন- নাসির (২৫), সুজন (২০), নওয়াব আলী (৬০) জাফর (৩০), কালাম (৫৫), আলামিন প্রধান (২৫), রাফিন (২২), মারুফ (৪৬), এবিএম রাজু (৪৫), হুমায়ুন কবির (৩৫), লিয়ন (২২), আকলিমা (৩৫), সজীব হোসেন (২৬), সালেক (৩০), সজীব ভূঁইয়া (৩০) সাংবাদিক রাফসান (৩০), সাংবাদিক মাসুম (৩২), বিল্লাল (২৫), রুবেল (২৫), কালাম (৩৮), নান্নু (৩৫), আকরাম (২০), মানিক (৩৫), রফিকুল ইসলাম (৩০), রাজু আহামেদ (৩৫), কবির (২৫), নয়ন (২৬), এমদাদুল (২৭), আনোয়ার (৪০), জমির (৩৪), হিয়া (২০), রাসেল (১৮), রোকসানা (৪২), রোমান (২৮), আরিন (৫২)।
এছাড়াও পুলিশ সদস্যদের মধ্যে এএসআই সামাদ, নায়েক আব্দুর রাজ্জাক, কনস্টেবল আসাদুজ্জামান, কাইয়ুম ও আলীর নাম জানা গেছে।
ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. আলাউদ্দিন বলেন, হাতে, পায়ে, মাথায়সহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে ফুলা নীল ছেলা জখম, কাটা জখম, গুলিসহ বিভিন্ন ধরনের আহত হয়েছেন। বিকালের দিকে রোগীর চাপ বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় এক সঙ্গে বেশি রোগী আসায় আমাদের কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।