গেলো ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী এবং এই জোটের সমমনা দলগুলো। সেই সমাবেশ পণ্ড হওয়ার জের ধরে মঙ্গলবার থেকে আগামী ৭২ ঘণ্টা টানা অবরোধের ডাক দিয়েছে দলগুলো।
তবে, অবরোধে সড়কে যান চলাচল সচল রয়েছে৷ গণপরিবহন হাতে গোনা হলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে সড়কে সরেজমিনে দেখা গেছে, সকালে সড়কে অন্য দিনের তুলনায় চাপ ছিল কম।
ছিল গণপরিবহন সংকটও। সকাল থেকেই গণপরিবহন সংকটে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে দেখা গেছে।
আজমেরী গ্লোরী বাসের চালক শাহজাহান বলেন, আমরা ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি। একটা গাড়ি পুড়িয়ে দিলে সেটা তো আর ফিরে পাওয়া যাবে না।
তাই রাস্তায় গাড়ি নেই বললেই চলে।
এদিকে, গণপরিবহন সংকটে বিপাকে পড়েছেন অফিসগামী এবং চলাচলকারী সাধারণ যাত্রীরা। রাসেল হোসেন চাকরি করেন উত্তরা এলাকায় তিনি বলেন, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি প্রতিষ্ঠান তো আর হরতাল অবরোধে ছুটি দেয় না। সড়কের এই অবস্থা। এই ভোগান্তি আর ভালো লাগে না।
সরকারের পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) থেকে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা তিন দিন দেশব্যাপী সড়ক-রেল-নৌপথ, রাজপথসহ সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোট।
কর্মসূচি সফলে সর্বস্তরের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।