খোলাবাজারে আবারও ডলার সংকট, দর উঠেছে ১২৬ টাকা পর্যন্ত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মানি এক্সচেঞ্জ থেকে ব্যাংকগুলো বড় অংকের নগদ ডলার কেনায় আবারও সংকট তৈরি হয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার। কাজের সন্ধানে ইউরোপের সাইপ্রাসে যাওয়ার সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ করে ফেলেছেন মো. ফারুক। তবে খরচ মেটানোর জন্য মিলছে না প্রয়োজনীয় নগদ বৈদেশিক মুদ্রা।
মো. ফারুক বলেন, মানি এক্সচেঞ্জে ডলার কিনতে এসেছি। কিছুক্ষণ আগে বললো ১২৬ টাকা। এখন বলছে ১২৭ টাকা। আবার এত দাম দিয়েও সহজে পাওয়া যাচ্ছে না।
একই অবস্থা অন্যদেরও। বাড়তি মূল্য দিয়ে খোঁজ পাচ্ছেন না সোনার হরিণ বনে যাওয়া নগদ ডলার। শুধু ডলার নয়, অন্যন্য বৈদেশিক মুদ্রারও সংকট রয়েছে মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোতে। এক গ্রাহক বলেন, আমার আব্বু-আম্মু চিকিৎসার জন্য ভারত যাবেন। তাই ডলার প্রয়োজন। কিন্তু তা পাচ্ছি না। আমার টিকিট-ভিসা-সব আছে। তবু মার্কিন মুদ্রাটি পাওয়া যাচ্ছে না। মানি এক্সচেঞ্জ বলছে ডলার নেই।
বিক্রেতার বলছেন, ডলারের মূল্য বেঁধে দেয়ায় সংকট তৈরি হয়েছে বাজারে। এছাড়া খোলাবাজার থেকে ব্যাংকগুলো নগদ ডলার সংগ্রহের অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে কার্ব মার্কেটে। এক ক্রেতা বলেন, ব্যাংকের যখন ডলার দরকার হচ্ছে, তখন সমানে তা কিনে নিচ্ছে তারা। ফলে আমরা পাচ্ছি না।
এক বিক্রেতা বলেন, সাধারণত প্রবাসীরা ব্যাংকে রেমিট্যান্স পাঠান। সেখানে যে দামে কেনা হয়, সেটার সঙ্গে আমাদের সমন্বয় করলে আমরা তা লেনদেন করতে পারবো।
আরেক বিক্রেতা বলেন, আমাদের এখানে প্রচুর চাহিদা আছে। কিন্তু আমরা জোগান পাচ্ছি না। দেশে বিদ্যমান রেটে ডলার কেনা যাচ্ছে না। ফলে বিক্রিও করতে পারছি না। ইতোমধ্যে বড় বড় ব্যবসায়ী ও আমলাদের ঘরে ডলারের মজুতের অভিযোগ তুলেছেন ব্যবসায়ীরা।