রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুসারে, এখন পর্যন্ত ৯৫ শতাংশেরও বেশি ভোগ গণনা করা হয়েছে। গণনাকৃত ভোটের মধ্যে পুতিন এককভাবে পেয়েছেন ৮৭ শতাংশের বেশি ভোট। রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা তাসের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সর্বশেষ খবর অনুসারে, ৯৫ দশমিক ০৮ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৭ দশমিক ৩২ শতাংশ ভোট পেয়ে আবারও ৬ বছরের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন তিনি। বাকি ৩ প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে পুতিনের ভোটের যে ব্যবধান তাতে একে পুতিনের স্পষ্ট ভূমিধস বিজয় বলা যেতে পারে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়া পুতিনের তিন প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী নিকোলাই খারিতোনভ ৪ দশমিক ২৮ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে, নিউ পিপল পার্টির প্রার্থী ভ্লাদিস্লাভ দাভানকভ ৩ দশমিক ৮৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন এবং এলডিপিআরের প্রার্থী লিওনিদ স্লুৎস্কি ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট পেয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন।
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, পুতিন ক্ষমতার জন্য মরিয়া ও শাসন চিরস্থায়ী করার জন্য সব করছেন। গতকাল রোববার রাতে এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্পর্কে এসব কথা বলেন তিনি।
জেলেনস্কি বলেন, ‘এমন নির্বাচনের কোনো বৈধতা নেই এবং এটা হতে পারে না।’ ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে নিয়ে জেলেনস্কি বলেন, ‘তাঁর ব্যক্তিগত ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে এমন কোনো খারাপ কাজ নেই যে তিনি করছেন না।’ ভ্লাদিমির পুতিনের বিচার বিচার হেগে হওয়া উচিত বলেন মনে করেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।’
উল্লেখ্য, রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয় গত ১৫ মার্চ। তিন দিন ধরে চলা এই নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলে গতকাল রোববার অর্থাৎ ১৭ মার্চ পর্যন্ত। রাষ্ট্র পরিচালিত এক সমীক্ষায় এ সপ্তাহের শুরুতে বলা হয়েছিল, ৮০ শতাংশের বেশি ভোট পাবেন পুতিন। বাস্তবেও তাই দেখা যাচ্ছে। এ জয় পুতিনকে ক্ষমতায় রাখবে ২০৩০ সাল পর্যন্ত। সে ক্ষেত্রে অষ্টাদশ শতাব্দীর ক্যাথরিন দ্য গ্রেটের পর পুতিনই হবেন রাশিয়ার ক্ষমতায় সবচেয়ে বেশি সময় থাকা রাষ্ট্রনায়ক।
সাবেক রুশ গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির এক সময়ের কর্মকর্তা ভ্লাদিমির পুতিন ১৯৯৯ সালের শেষ দিন থেকে প্রেসিডেন্ট কিংবা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আছেন। ইউক্রেনের ওপর তাঁর সামরিক হামলার জন্য রুশদের আনুগত্য ও সমর্থন প্রদর্শন হিসেবেই এ নির্বাচনকে দেখছেন তিনি।