ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বিমান ছিনতাইয়ের হুমকির প্রেক্ষাপটে শনিবার বিমানবন্দরে কানাডাগামী এক যাত্রীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করেছে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।
ওই যাত্রীর নাম কফিল উদ্দিন (৪০)। তার বাড়ি চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকায়। চার মাস আগে তিনি কানাডা থেকে দেশে এসেছিলেন।
তবে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশির পর বিমান ছিনতাই করার মতো মতো কোনো আলামত পাওয়া না যাওয়ায় কফিলকে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে শনিবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে তিনি কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে কানাডার উদ্দেশ্য ঢাকা ছেড়ে যান।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেম এম জাকির হাসান জানান, শুক্রবার বিমান ছিনতাইয়ের হুমকির খবর জানার পর বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল।
তিনি জানান, শুক্রবার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কেন্দ্রীয় এক্সচেঞ্জে একটি উড়ো ফোন আসে। তাতে জানানো হয়, কফিল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি যাত্রী সেজে একটি বিমান ছিনতাই করবে। বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে ওই ঘটনার পরপরই সিভিল এভিয়েশন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও তল্লাশি ব্যবস্থা জোরদার করে। এছাড়া দেশের অন্য বিমানবন্দরগুলোতেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
গ্রুপ ক্যাপ্টেন জাকির জানান, এরপর শনিবার কফিল উদ্দিন নামে কানাডাগামী এক যাত্রী বিমানবন্দরে আসলে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং তার শরীর ও লাগেজ তল্লাশি করা হয়। তবে বিমান ছিনতাই করার মতো কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তার সঙ্গে থাকা একটি ল্যাপটপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের একটি ছবি পাওয়া গেছে।
তবে যাত্রী কফিল উদ্দিন জানিয়েছেন, জমি নিয়ে তার চাচাত ভাই আনোয়ার জাহিদ ও স্বপনের সঙ্গে তার বিরোধ চলছে। এ বিরোধের জের ধরে তাকে ফাঁসানোর জন্য জাহিদ স্বপন বিমান ছিনতাইয়ের হুমকি দিয়ে থাকতে পারে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
এ ঘটনায় যারা ফোনে হুমকি দিয়েছিলেন তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান বিমানবন্দরের পরিচালক।