এভিয়েশন নিউজ: দেশের প্রধান দুই বিমানবন্দরকে ঘিরে দেশি-বিদেশি ১৩টি প্রভাবশালী স্বর্ণ চোরাচালানি চক্র সক্রিয় রয়েছে। এই চক্রের সদস্যদের মধ্যে ৯ জন স্বর্ণ এবং ৪ জন মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবসা করেন। তাদের এজেন্ট হয়ে আবার কাজ করেন অনেকে। পাশাপাশি এই চক্রের সদস্যদের সার্বিকভাবে সহায়তা করেন বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থার অর্ধশত কর্মকর্তা। সম্প্রতি স্বর্ণ উদ্ধারের দুটি ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে এমনই তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
এ ব্যাপারে এপিবিএনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপি শেখ হেমায়েত হোসেন জানান, হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব নিয়ন্ত্রক সংস্থা সমন্বয় করে কাজ করছে। এজন্য সাম্প্রতিক সময়ে স্বর্ণ চোরাচালান ধরা পড়ছে বেশি। এর মধ্যে কয়েকটি ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে কয়েকটি চোরাকারবারি চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। ওই চক্রের সদস্যদের বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থার সদস্যরা সহায়তা করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুপারিশ করা হবে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করা যাবে না। ইতোমধ্যে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর এবং একটি গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, দুবাই এবং কাতারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আকাশপথে অবৈধভাবে স্বর্ণের চালান আসছে বাংলাদেশে। এসব চালানের বেশিরভাগই যাচ্ছে প্রতিবেশী দেশে। কারণ, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে স্বর্ণ আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করে ভারত সরকার। স্বর্ণ আমদানিতে শুল্ক হার ৬ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। এ কারণে বাংলাদেশকে প্রধান রুট হিসেবে ব্যবহার করছে চোরাকারবারিরা। এই চক্রের সদস্যরা বাংলাদেশি হলেও তাদের সঙ্গে ভারতের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সম্পর্ক রয়েছে। এই চক্রের সদস্যরা চোরাই স্বর্ণ বিমানবন্দর পার করে স্থলপথে ভারতে পাঠিয়ে দিচ্ছে।
গোয়েন্দাদের তথ্যমতে, পাচারকারী দলের সদস্যদের নিজেদের অন্তর্দ্বন্দ্ব, নিয়ন্ত্রক সংস্থার সদস্যদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার কতিপয় সদস্যের সঙ্গে চোরাচালানকারীদের ‘বনিবনা’ না হলেই ধরা পড়ে স্বর্ণের চালান। তাদের সবার সঙ্গে দফারফা হলেই কোনো স্বর্ণ আটক হয় না বলেও গোয়েন্দা সূত্রটি দাবি করেছে।
জানা গেছে, গত ২১ এপ্রিল রাতে সিঙ্গাপুর থেকে একটি বিমানে দুই নারীসহ তিন যাত্রী হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। তাদের ২০ কেজি স্বর্ণসহ আটক করা হয়। এরপর তাদের তথ্যের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বেসামরিক বিমান পরিবহনের তথ্য সহকারী মোবারক হোসেনকে আটক করেন। মোবারক শুল্ক ও পুলিশ কর্মকর্তাদের জানান, বেসামরিক বিমান পরিবহনের প্রটোকল সহকারী হাফিজুর রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি স্বর্ণ বহনকারীদের ইমিগ্রেশন পার করে দিতে সহযোগিতা করেছেন। এ ঘটনার পর হাফিজুর ধরা পড়েননি।
এছাড়া সম্প্রতি দুবাই থেকে আসা একটি উড়োজাহাজের টয়লেট থেকে ১০৬ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করেছেন হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তারা। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মেকানিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট আনিসকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আনিস স্বর্ণ পাচারকারীদের সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া গত ২১ এপ্রিল রাতে হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২০ কেজি স্বর্ণসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। গত ১ এপ্রিল শাহ্জালাল থেকে ৬২টি স্বর্ণের বারসহ দুবাই ফেরত দুজনকে আটক করা হয়। তাদের অন্তর্বাস এবং পায়ের গোড়ালিতে পরা অ্যাংলেটের ভেতরে স্বর্ণের বারগুলো পাওয়া যায়। ১৪ এপ্রিল রাজধানীর গাবতলীর মাজার রোড এলাকা থেকে এক ব্যক্তির হাতব্যাগ তল্লাশি করে পুলিশ ১৫০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি পল্টন এলাকার কয়েকজন স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম প্রকাশ করেছে পুলিশের কাছে।
দারুস সালাম থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, পল্টন এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে স্বর্ণ পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা আন্তর্জাতিক স্বর্ণ পাচার চক্রের সদস্য বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। তারা সীমান্ত এলাকা দিয়ে স্বর্ণ পাচারের উদ্দেশ্যে বাহক হিসেবে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে ব্যবহার করেছে। তবে এখনই তাদের নাম প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
এ ঘটনার কয়েকদিন আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকা মূল্যের ১০০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে র্যাব। এ ঘটনায়ও বিমানের একজন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ৯ এপ্রিল শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আসা একজন যাত্রীর কাছ থেকে ৮০ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণের বার উদ্ধার করেন কাস্টমস ও শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এদিন অপর এক ব্যক্তির জুতার শুকতলার ভেতর থেকে ১ কেজি ৮৬৬ গ্রাম ওজনের ১৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে তিনটি চালানে ২৭ কেজি স্বর্ণসহ ৪ পাচারকারীকে আটক করা হয়।
তাদের মধ্যে জয়নাল আবেদীন নামে বিমানের একজন ক্লিনারের জুতার শুকতলা থেকে ৫ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৫ বছরে প্রায় এক হাজার কেজি চোরাই স্বর্ণ ধরা পড়েছে। ২০০৯ সালে পৌনে ১২ কেজি, ২০১০ সালে ৯ কেজি, ২০১১ সালে ৪ কেজি, ২০১২ সালে ২৪ কেজি এবং ২০১৩ সাল সাড়ে ৫০০ কেজি স্বর্ণ আটক করা হয়েছে। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক চালানে প্রায় সাড়ে ৩০০ কেজি স্বর্ণ আটক করা হয়। ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশ থেকে দুই হাজার কেজির বেশি স্বর্ণ উদ্ধার হয়েছে। গত বছর ২৪ জুলাই হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাঠমান্ডু ফেরত বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজের কার্গো চেম্বারে বিশেষভাবে রাখা অবস্থায় ১২৪ কেজি স্বর্ণের চালান ধরা পড়ে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে ধরা পড়া সবচেয়ে বড় এই চালানের সঙ্গে জড়িত কাউকেই এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি। এমনকি ওই ঘটনায় কোনো মামলাও দায়ের করা হয়নি। চলতি বছর শুধু চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে ১৮৮ কেজি ৬৫ গ্রাম ওজনের ১৬২৩টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। এর মূল্য ৮০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। দুবাই এবং কাতার ছাড়াও অন্য যেসব দেশ থেকে অবৈধভাবে স্বর্ণের চালান আসছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, নেপাল, শ্রীলংকা ও পাকিস্তান।
জানা গেছে, গত এক বছরে ১১৫টি স্বর্ণ চোরাচালানের ঘটনায় ৭৫টি মামলা হয়েছে। এসব ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন শতাধিক। তাদের বেশিরভাগই বাহক। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিম্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ধরা পড়লেও আড়ালে থেকে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক চোরাকারবারিসহ মূল হোতারা।
গোয়েন্দা তথ্যমতে, চক্রের মূল হোতারা সিঙ্গাপুর, দুবাই, পাকিস্তান ও ভারতে বসে নিয়ন্ত্রণ করছে চোরাচালান। বাংলাদেশে প্রতি ১০ গ্রামের জন্য শুল্ক দিতে হয় মাত্র ১৫০ টাকা। আর ভারতে ১০ গ্রামের শুল্ক ৪ হাজার টাকা। ১০টি স্বর্ণের বার ভারতে চোরাই পথে বিক্রি করতে পারলে প্রায় ৮ লাখ টাকার মতো লাভ পাওয়া যায়। এই সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগাচ্ছে চোরাকারবারিরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, পাচারকারীদের মধ্যে যখন কোন্দল প্রকট হয়, তখনই বড় চালান ধরা পড়ে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের দুই বিমানবন্দরে যে কয়টি বড় চালান ধরা পড়েছে, তার পেছনেও ছিল পাচারকারীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব। শাহ আমানত বিমানবন্দরে ৪৯ কেজি স্বর্ণ আটকের পর প্রতিপক্ষকে সন্দেহ করে পাচারকারীরা। এসব পাচারকারীই দুবাই থেকে আসা প্রতিপক্ষের ১০৭ কেজি স্বর্ণ চালানের খবর শুল্ক গোয়েন্দাদের জানিয়ে দেয়। একইভাবে গত ২৫ মার্চ শাহ আমানত বিমানবন্দরে চট্টগ্রামের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় স্বর্ণের চোরাচালান (১০৭ কেজি স্বর্ণ) আটকের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ২০১২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তাকর্মী মনোয়ারকে আটক করে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা। তার তথ্যের ভিত্তিতে টয়লেটের কমোড থেকে সাড়ে ১৩ কেজি ওজনের ১১৭টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এনএসআইর মাঠ কর্মকর্তা আবদুল আজিজ শাহ গ্রেপ্তার হন। তার তথ্যের ভিত্তিতে সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তাকর্মী কাজী আবুল কালাম, নিরাপত্তা তত্ত্বাবধানকারী নিজাম খন্দকার এবং স্বর্ণ ব্যবসায়ী দেব কুমার দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় স্ক্যানিং মেশিন অপারেটর রেখা পারভীনের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। এরপর গা-ঢাকা দেন রেখা। এসব আটককৃত ব্যক্তি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, শাহ্জালাল বিমানবন্দরকেন্দ্রিক চোরাচালানের সঙ্গে ১৩টি চক্র জড়িত। এসব চক্রে আছেন ৯ জন স্বর্ণ ব্যবসায়ী এবং ৪টি মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ী। চোরাচালানে সহায়তা করেন বেসামরিক বিমান পরিবহনের ৭ জন কর্মী এবং শুল্ক বিভাগের দুইজন রাজস্ব কর্মকর্তা।
গত বছর রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৪০ ভরি চোরাই স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত বিমানবন্দরের জুনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তা কামরুল হাসান বিপু এবং ক্লিনিং সুপারভাইজার আবু জাফরসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সূত্র জানায়, বেশিরভাগ চোরাচালানের ক্ষেত্রে কোন ফ্লাইটে চালানটি আসবে, তা আগে থেকেই পাচারকারীরা বিমানবন্দরের অসাধু কর্মকর্তাদের জানিয়ে দেয়। এর মধ্যে লেনদেনের বিষয়টিরও দফারফা হয়। পরে ওই কর্মকর্তা তার টিমের সদস্যদের ম্যানেজ করেন। প্রতিটি চালানেই থাকে আলাদা এজেন্ট। এজেন্টরা পেশাদার চালান বহনকারীকে (পেইড ক্যারিয়ার) চালান বুঝিয়ে দেয়। এসব ধাপের কোনো একটির ব্যত্যয় ঘটলেই বেহাত হয়ে যায় কোটি টাকার চালান। আবার আচমকা কোনো অসাধু কর্মকর্তার ডিউটি পরিবর্তন হলেও ধরা পড়ে যায় চালান।
এ সম্পর্কে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান জানান, বাহকরা ধরা পড়লেও চোরাচালানি চক্র ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। স্বর্ণ উদ্ধারের পর ধরা পড়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে সহযোগীদের নাম জানা গেলেও মূল ব্যক্তিদের নাম জানা যায় না। স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত করার ক্ষমতা নেই শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের। মামলার তদন্ত করে পুলিশ। চক্রের প্রধানদের শনাক্ত এবং ধরতে না পারার জন্য এই ব্যবস্থাও অনেকাংশে দায়ী।
তিনি আরো জানান, সাম্প্রতিককালে স্বর্ণ বেশি ধরা পড়ছে। তার মানে এই নয়, স্বর্ণের চোরাচালান বেড়েছে। আগে হয়তো এর চেয়ে বেশি চোরাচালান হয়েছে, কিন্তু তখন ধরা পড়েছে কম। তবে এসব ঘটনার সঙ্গে অনেক অসাধু কর্মকর্তার জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।