মাথায় টাক ও সাদা চুলের বিপত্তি থেকে যেভাবে মুক্তি মিলবে

মাথায় টাক ও সাদা চুলের বিপত্তি থেকে যেভাবে মুক্তি মিলবে।

মাথায় চুলের ঘনত্ব কমে এলে তা কিন্তু ব্যক্তিত্বে ছাপ ফেলে। একটা নির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছনোর পর প্রাকৃতিক নিয়মেই চুল হালকা হতে থাকে। তখন অনেকেই হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্টের মতো চিকিৎসা, না হয় ঘরোয়া উপায়ে টাক রুখতে উঠেপড়ে লাগেন।
তা ছাড়া এমনিতেও সারা বছর চুলের যত্ন নিতে কত কিছুই না করতে হয়। শ্যাম্পু, কন্ডিশনিং, স্পা, আরও কত কিছু। কিন্তু এ সব করেও অনেক সময়ে সমস্যার সমাধান পাওয়া যায় না। তাই সময় ও অর্থ দুটো ব্যয় করতে হয় অনেকটাই।
আবার হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্টের মতো ব্যয়বহুল ও কষ্টকর চিকিৎসা করাতেও সকলে সক্ষম হন না। আবার বাজারচলতি নানা রাসায়নিক ব্যবহার করতে গিয়ে চুলের ক্ষতি হয়।
কিন্তু রূপবিশেষজ্ঞদের মতে, টাক পড়ে যাওয়ার আগেই সময় থাকতে একটু যত্ন নিলে বয়সজনিত কারণে চুল পাতলা হয়ে আসার সমস্যা কিছুটা এড়ানো য়ায়। চুল ঝরে পড়ার পরিমাণও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসে এই সহজ সমাধানে।
তাদের মতে, চুলকে ভাল রাখার অন্যতম সেরা উপাদন ক্যাস্টর অয়েল। কেবল চুল ঝরা বা টাক পড়া প্রতিকার করাই নয়, ক্যাস্টর অয়েলের আরও নানাবিধ উপকার রয়েছে।
ক্যাস্টর অয়েলে ওমেগা ৬ ও ফ্যাটি অ্যাসিজ থাকে, যার ফলে চুলের বৃদ্ধি হয়। এ ছাড়া চুলের ফলিকল নষ্ট হয়ে তা ঠিক করতেও ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
চুল পাকতে শুরু করলে ঘাবড়ে যাবেন না। কারণ মাত্র একটু ক্যস্টর অয়েলেই সমস্যা মিটতে পারে। তাই পাকা চুল দেখলেই নিয়ম করে ক্যাস্টর অয়েল লাগান। এটি চুলের রং ধরে রাখে।
অনেক সময়ে চুল এত শুষ্ক হয়ে যায় যে তা উড়তে থাকে। এক্ষেত্রে ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে অলিভ অয়েল, নারকেল তেল, জোজোবা মিশিয়ে শুধু চুলে হালকা করে লাগিয়ে নিন। এতে উড়ন্ত চুল পেতে যাবে।
তবে শুধু চুল নয়। ভুরু ও চোখের পাতায়ও ক্যাস্টর অয়েল মাখতে পারেন। এতে ভুরু ও চোখের পাতার ঘনত্ব বাড়বে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.