নিউইয়র্ক সিটির তিনটি প্রধান বিমানবন্দরের অবস্থা এখন লজ্জাজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। জন এফ কেনেডি, লা গার্ডিয়া এবং নিউজার্সির নিওয়ার্ক লিবার্টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এখন বিবেচিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে খারাপ বিমানবন্দর হিসেবে। এ বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট উড্ডয়ন ও অবতরণে বিলম্ব হচ্ছে এক থেকে পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত। সিএসবি নিউইয়র্ক নামের একটি পত্রিকাকে একজন যাত্রী জানিয়েছেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় বাংলাদেশেও লা গার্ডিয়ার চেয়ে ভালো বিমানবন্দর আছে।
বিমানবন্দরে অবতরণের পর, কেবল টার্মিনালে পৌঁছার জন্য বসে থাকা বেশি ব্যস্ততা আছে এমন যাত্রীদের জন্য রীতিমত পীড়াদায়ক। উইট অ্যালেন নামের এক যাত্রী বললেন, এটা খুবই বাজে ব্যাপার। আপনি কেবল নামতে চাইবেন আর নিজের গন্তব্যে দ্রুত যেতে চাইবেন।
যাত্রীদের দেরি করতে হয় এটা কালো গাড়ির ড্রাইভাররাও জানেন, তাই তারাও ঢিলেমি করেন। বিমানের যাত্রী প্যাট নোলেস এই অবস্থাকে বেদনাদায়ক বলে আখ্যা দিয়েছেন।
জন এফ কেনেডি, লা গার্ডিয়া এবং নিওয়ার্ক লিবার্টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এখন বিবেচিত হচ্ছে এক, দুই ও তিন নম্বর খারাপ বিমানবন্দর হিসেবে। দুর্দশাগ্রস্তদের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে তাদের জন্য বিষয়টি খুবই হতাশাজনক।
গত বছরের হিসাব অনুযায়ী এ বিমানবন্দরগুলোর ফ্লাইট ওঠা-নামার ক্ষেত্রে দেরি দেখা গিয়েছিল এক থেকে পাঁচ ঘণ্টা। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী- এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েছিলেন ছয় লক্ষ ৬০ হাজার যাত্রী।
গ্লোবাল গেটওয়ে জোটের প্রতিষ্ঠাতা জোসেফ সিট বলেন, নিউইয়র্কের মতো নগরীর বিমানবন্দরের এমন বাজে অবস্থা যে এখানে এক থেকে পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত বিমান দেরি করে ছাড়ে। আমরা এ তথ্য সংরক্ষণ করেছি। সিট জানান, প্রচার করা হচ্ছে এ তিন বিমানবন্দরের উন্নতি হচ্ছে। স্যাটেলাইটভিত্তিক প্রযুক্তি যাকে নেক্সট জেনারেশন প্রযুক্তি বলা হয় তা নাটকীয়ভাবে বিলম্ব হ্রাস করছে।
তিনি আরো জানান, এটা নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের জন্য জঘন্য এবং বিব্রতকর অভিজ্ঞতা- কারণ তারা এর আগে এমন অবস্থা কখনো দেখেনি। সিট নিজেও এ তিন বিমানবন্দরের এমন বেহাল অবস্থায় বিব্রত।
বাংলাদেশেও লা গার্ডিয়ার চেয়ে ভালো বিমানবন্দর আছে বলে মন্তব্য করেন জন লি অ্যান্ডারসন নামের আরেক যাত্রী। যদিও বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক প্যাট ফয়ে এ অবস্থার জন্য ব্যস্ত এয়ার স্পেস এবং প্রচণ্ড শীতকে দায়ী করেন।
এ অবস্থার উন্নতি হচ্ছে এমন ভালো খবর খুব ধীর গতিতে আসছে। নিউইয়র্কের বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং নিউ জার্সি এ বিষয়ে চার বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি পরিকল্পনার ওপর বৃহস্পতিবার ভোটাভুটি করেছে যা লা গার্ডিয়াকে একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী বানাবে।