৪ জানুয়ারি থেকে বিমানের ঢাকা-ম্যানচেস্টার-সিলেট-ঢাকা ফ্লাইট।
আগামী ৪ জানুয়ারি থেকে ঢাকা-ম্যানচেস্টার-সিলেট-ঢাকা রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে ৩টি ফ্লাইট চলবে এই রুটে। বহরে থাকা বোয়িং ৭৮৭-৮ (ড্রিমলাইনার) উড়োজাহাজ দিয়ে এ রুটের ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
এ প্রসঙ্গে বিমানের বিপণন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, যুক্তরাজ্যের উত্তরে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের সুবিধার্থে ম্যানচেস্টার রুট চালু করা হচ্ছে। আমরা আশা করছি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জন্য এটি হবে একটি লাভজনক।
তিনি বলেন, এই রুটে লন্ডনের চেয়ে যাত্রী কম হবে না। আগামী ৪ জানুয়ারি উদ্দেশ্যে বিমানের প্রথম ফ্লাইট উদ্ভোধন করা হবে। প্রাথমিকভাবে ম্যানচেস্টার রুটে সপ্তাহে তিনদিন ফ্লাইট চলাচল করলেও পরিস্থিতি বিবেচনায় ও যাত্রী চাহিদা বাড়লে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানো হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ম্যানচেস্টারে সরাসরি বিমান যোগাযোগ স্থাপন করা হলে তা হবে লাভজনক একটি রুট। এতে ম্যানচেস্টারে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরাসহ উত্তর ইংল্যান্ডে বসবাসরত সব প্রবাসী বাংলাদেশি উপকৃত হবে।
সর্বশেষ ২০১২ সালে অক্টোবরে ম্যানচেস্টার রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করেছিল বিমান। এরপর পর্যাপ্ত যাত্রী না থাকায় লোকসানে রুটটি বন্ধ করে বিমান।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০১২ সালে পুনরায় ম্যানচেস্টার রুটের ফ্লাইট চালু করে বিমান। সে সময় বহরে নতুন যুক্ত হওয়া বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর (পালকি) দিয়ে রুটটি চালু করা হয়। তবে হজ ফ্লাইট চালাতে গিয়ে উড়োজাহাজ সংকটে ওই বছর ১৯ অক্টোবর আবারও বন্ধ হয়ে যায় ম্যানচেস্টার রুটের ফ্লাইট।
এদিকে গত ৫ অক্টোবর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে যুক্তরাজ্যের গ্রেটার ম্যানচেস্টারের মেয়র অ্যান্ডি বার্নহ্যাম ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট সি ডিকসনের সঙ্গে এক বৈঠকের পর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহর এখন অনেক আধুনিক।
তিনি বলেন, আমাদের বিমানবহরে রয়েছে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সব উড়োজাহাজ। প্রবাসী বাংলাদেশিদের সুবিধার জন্য প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে ম্যানচেস্টারে ফ্লাইট চালু করার অনুমোদন দিয়েছেন। ঢাকা-ম্যানচেস্টার সরাসরি ফ্লাইট চালু করার সব প্রস্তুতিই এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।