নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডেভিড ক্লার্ক করোনাভাইরাস সংক্রামণ রোধে ঘোষিত লকডাউন লঙ্ঘন করে পরিবার নিয়ে গাড়ি চালিয়ে সৈকতে গিয়েছিলেন। পরে সেই ভুল স্বীকার করে নিজেকে ‘ইডিয়ট’ বলেছেন তিনি।
এদিকে লকডাউন লঙ্ঘন করার দায়ে তার পদাবনতির কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আর্ডান।
মঙ্গলবার তিনি বললেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করার প্রস্তাব দিলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। কারণ এখন এই পদত্যাগে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই ঝুঁকিতে পড়ে যাবে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।
লকডাউনের শুরুর দিকে নিজের পরিবারকে নিয়ে সৈকতে ঘুরতে গিয়েছিলেন ক্লার্ক। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নীতিকে তিনি তাচ্ছিল্য করেছেন।
ওয়েলিংটনে জাসিন্দা আর্ডান বলেন, সাধারণ পরিস্থিতিতে আমি তাকে বরখাস্ত করতাম। স্বাস্থ্যমন্ত্রী যে ভুল করলেন, তার কোনো অজুহাত নেই।
করোনাভাইরাসের এই সময়টিতে বরখাস্ত না করে মন্ত্রিসভায় পদমর্যাদার সবার নিচে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাকে। সহযোগী অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকেও সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
জাসিন্দা আর্ডান বলেন, আমি ভালো কিছু প্রত্যাশা করছি। নিউজিল্যান্ডের জন্য সেটাই করার চেষ্টার করছি।
নিজেকে ‘ইডিয়ট’ আখ্যায়িত করে এক বিবৃতিতে ক্লার্ক বলেন, লোকজন কেন আমার ওপর ক্ষুব্ধ, তা আমি বুঝতে পারছি।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মার্চের শেষ দিকে চার সপ্তাহের জাতীয় লকডাউন ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড। এসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রেস্তোরাঁ, ক্যাফে ও জিমসহ বিদেশি নাগরিকদের জন্য সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এমন ভুল একবার করেননি। গত সপ্তাহে তিনি কাছাকাছি একটি পাহাড়ে গাড়ি নিয়ে বেড়াতে যান।
সেখানে ছবিও তোলেন। এ ঘটনার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আর্ডান বলেন, মানুষ প্রয়োজনে খোলা বাতাসে গাড়ি নিয়ে কাছাকাছি যেতে পারে। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা এড়িয়ে চলতে হবে।
লকডাউনের মধ্যে পরিবার নিয়ে সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে যাওয়ার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। জাসিন্দা বলেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এ অপরাধের জন্য ক্লার্ককে বরখাস্ত করা হতো।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্লার্ক নিজের ভুল স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে আমার দায়িত্ব শুধু নিয়ম মেনে চলা না, অন্যদের সামনে দৃষ্টান্ত হিসেবে নিজের ভাবমূর্তিও তৈরি করা। এই সংকটের সময় আমি নির্বোধের মতো কাজ করেছি। আমি বুঝতে পারছি কেন মানুষ আমার ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছে।