বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বোমা বিস্ফোরিত হওয়া ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ ২০টি হ্যান্ড গ্রেনেড, চারটি বিদেশি পিস্তল, ৪০ রাউন্ড গুলি, ছয়টি ম্যাগাজিনসহ বেশ কিছু ককটেল ও বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
সোমবার দুপুরে শেরপুর উপজেলার গারিদাহ ইউনিয়নের জুয়ানপুর কুটির ভিটা গ্রামের মাহবুবুর রহমানের মালিকানাধীন বাড়ি থেকে এসব গ্রেনেড, অস্ত্র, গুলি উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও ওই বাড়িতে অভিযানকালে একটি মোটরসাইকেল, একটি বাইসাইকেল, কয়েকটি চেকবইসহ বেশ কিছু ধর্মীয় বই-পুস্তক উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার দিবাগত রাত ৮টার দিকে ওই বাড়িতে বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে দুজন নিহত হন।
ঢাকা থেকে কাউন্টার টেরোরিজম ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ডিভিশনের বোম ডিসপোজাল ইউনিটের আট সদস্যের একটি টিম ঘটনাস্থলে আসে। এই টিমের নেতৃত্ব দেন ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সহকারী কমিশনার (এসি) রহমতউল্লাহ চৌধুরী।
পরে বোম বিশেষজ্ঞ ইউনিটের সদস্যরা নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে উদ্ধারকৃত হ্যান্ড গ্রেনেডগুলো বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তা নিষ্ক্রিয় করে।
এরপর বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামান দুপুরে ঘটনাস্থলে সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেনেডগুলো উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন। এটি কোনো জঙ্গি সংগঠনের কাজ হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে নিষিদ্ধঘোষিত জেএমবি এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে। অথবা এ জাতীয় অন্য কোনো সংগঠনও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। এসব বিষয়কে সামনে রেখে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করে যাচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, নিহতদের নাম-পরিচয় জানার পর সবকিছু পরিষ্কার করে বলা সম্ভব হবে। তাদের নাম-পরিচয় জানার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। এছাড়া এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি।