সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বোলারদের মধ্যে একমাত্র মুস্তাফিজই ওভারপ্রতি সাতের কম রান দিয়েছেন। বাঁ-হাতি এই পেসার পেয়েছেন দুই উইকেট। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়ে তুলেছিলেন। দল হারলেও মুগ্ধ করেছেন বাংলাদেশের পেস বোলিং সেনসেশন। আর তাই মুস্তাফিজের গুণমুগ্ধ এবার ভারতীয় গণমাধ্যম। টাইমস অব ইন্ডিয়া থেকে শুরু করে কলকাতার আনন্দবাজার – সব জায়গাতেই শুধু একটা নাম – মুস্তাফিজ! ভারতের শীর্ষ দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া মঙ্গলবারের ম্যাচের পাঁচটি আলোচিত মুহূর্তে রেখেছে মুস্তাফিজের ‘আলো ছড়ানো অভিষেক’কেও। পত্রিকাটি লিখেছে, ‘শুরুতেই মুস্তাফিজ দুর্দান্ত ছিলেন, প্রথম দুই ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১০ রান। কিন্তু তাঁর সতীর্থরা রানের বন্যা বইয়ে দিলেন, ডানে-বামে-সামনে সবদিক দিয়ে। ভুবনেশ্বর আর কর্ণ শর্মা তাদের আট ওভারেই দিয়ে বসলেন ১১৩ রান। নিজের প্রাপ্য পুরস্কারটা দ্বিতীয় স্পেলে মুস্তাফিজ পেলেন ডি ভিলিয়ার্সকে ফিরিয়ে দিয়ে, ততক্ষণ ডি ভিলিয়ার্স অবশ্য যা ক্ষতি করার করেই ফেলেছে।’ কলকাতা থেকে প্রকাশিত আনন্দবাজার শিরোনাম করেছে, ‘আইপিএল অভিষেকেই জোড়া উইকেট মুস্তাফিজুরের’। খবরে লিখেছে, ‘দলগত রান পৌঁছে গিয়েছে ১৮৬তে। তখনই কাটার মাস্টারকে এনে বাজিমাত ওয়ার্নারের। ওভারের দ্বিতীয় বলে ফেরালেন ডি ভিলিয়ার্সকে। তখন ৮২ রানে ব্যাট করছেন তিনি। কিন্তু কাটার মাস্টারের বলে মর্গ্যানকে ক্যাচ দিয়ে বসলেন তিনি। পরের বলেই তুলে নিলেন ওয়াটসনকে। হ্যাটট্রিকের আশায় তখন পুরো দল। কিন্তু সেটা না হলেও জোড়া উইকেটের ওভারে দিলেন মাত্র ৩ রান।’ হায়দ্রাবাদের স্থানীয় পত্রিকা ডেকান ক্রনিকালেও ছিল মুস্তাফিজ স্তুতি। তারা লিখেছেন, ‘দলের বাকিরা যখন রানের পর রান দিয়ে যাচ্ছিল, তখন স্বস্তির সুবাতাস নিয়ে আসনে মুস্তাফিজ।’ হিন্দুস্তান টাইমস মুস্তাফিজকে নিয়ে বিশেষ একটি ফিচার প্রকাশ করেছে। মুস্তাফিজের অবিশ্বাস্য দ্রুত উত্থানকে পত্রিকাটি শিরোনাম করেছে: ‘স্লোয়ার ওয়ান ফাস্ট-ট্র্যাকস মুস্তাফিজুর রহমান টু স্টারডম’।