নওগাঁর চালে নিউইয়র্কে বর্ষবরণ
নিউইয়র্কে বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষে চলছে ব্যাপক আয়োজন। আর সেই আয়োজনকে পরিপূর্ণ করতে কমানো হয়েছে ইলিশের দাম । একই সঙ্গে নওগাঁ থেকে সরাসরি আমদানিকৃত কালিজিরা এবং কাটারিভোগ চালের দামও কমানো হয়েছে।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশি মালিকানাধীন সর্ববৃহৎ চেইন স্টোর ‘মান্নান সুপার মার্কেট’র স্বত্ত্বাধিকারী সাঈদ মান্নান জানান, সরাসরি নওগাঁর কৃষকের কাছে থেকে কালিজিরা চাল আমদানী করেছি।নিউইয়র্কে সেগুলো ‘মান্নান কালিজিরা চাল’ হিসেবে ৮ পাউন্ড এবং ২০ পাউন্ডের প্যাকেট তৈরী করে বর্ষবরণ উপলক্ষে তা হ্রাসকৃত মূল্যে বিক্রি করছি।
নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে ‘মান্নান সুপার মার্কেট’-এ ১০ এপ্রিল দেখা যায়, দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের ইলিশ মাছের দাম ধার্য করা হয়েছে ১২.৯৯ ডলার (বাংলাদেশি ১০৪০ টাকা)। কদিন আগেও যা ছিল ১৬.৯৯ ডলার (১৩৬০ টাকা)।
একইভাবে ১২০০ থেকে ১৫০০ গ্রামের ইলিশের দাম ১০৪০ টাকা থেকে কমিয়ে ৮০০ টাকা, ৫০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ ৪৮০ টাকা থেকে কমিয়ে ৪০০ টাকা এবং ৩০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের মূল্য ৪০০ টাকা থেকে ৩২০ টাকা করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সাঈদ মান্নান বলেন, প্রচুর ইলিশ রয়েছে আমার কাছে। তাই প্রবাসীদের মধ্যে পয়লা বৈশাখে পান্তা-ইলিশের কোন সংকটই হবে না। প্রবাসীদের সুবিধার্থে ইলিশের মূল্য কমানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, নির্ভেজাল কালিজিরা এবং কাটারিভোগ চাল আমদানি করেছি সরাসরি নওগাঁ থেকে। বাঙালি যাতে শেকড়ের স্বাদে পয়লা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খেতে পারেন সেদিকে খেয়াল রেখে ৮ পাউন্ড ওজনের ‘মান্নান কালিজিরা’ চালের মূল্য ১০ ডলার থেকে কমিয়ে ৬.৯৯ ডলার করেছি। ২০ পাউন্ড ওজনের ‘কাটারিভোগ’র মূল্য ২২.৯৯ ডলার থেকে কমিয়ে ১৬.৯৯ ডলার করেছি।
সাঈদ মান্নান উল্লেখ করেন, একমাস আগে ৩০০ মেট্রিক টন চাল বাংলাদেশ থেকে নিউইয়র্কে আনার অনুমতি পেয়েছি। সেগুলো নওগাঁ থেকে এনে ‘মান্নান কালিজিরা’ ‘মান্নান কাটারিভোগ’ হিসেবে বিক্রি করছি।
নিউইয়র্ক সিটির বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় সুপার মার্কেট’-এ এসব চাল বিক্রি হচ্ছে।
বাংলা নতুন বছরকে বাঙালি আমেজে বরণের জন্যে নিউইয়র্কসহ সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। প্রায় সবগুলো আয়োজনের মধ্যমণি হচ্ছে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে শোভাযাত্রার পাশাপাশি শানকিতে পান্তা-ইলিশ পরিবেশন। সবচেয়ে বড় এবং ব্যয়বহুল অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে নিউইয়র্কে। জ্যাকসন হাইটস, এস্টোরিয়া, জ্যামাইকা, ব্রুকলীনের চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড এবং ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টার এলাকায় কয়েক হাজার বাঙালির সমাগমে পান্তা-ইলিশ বিতরণের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। সঙ্গে থাকবে বাংলা বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে আলোচনা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
