মালয়েশিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপন প্রবাসী যুবসংঘের

malaysia-boishakh-lrg-220160414172201বাঙালি জাতির চিরায়ত ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখ। এই দিনটিকে ঘিরে গত কয়েকদিন ধরেই পূর্ব এশিয়ার পর্যটন নগরী কুয়ালালামপুরে বসবাসরত বাঙালি কমিউনিটির চলছিল প্রস্তুতি। বৃহস্পতিবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন, নতুন বছর ১৪২৩ সাল।

আর তারই ঐতিহ্য ধারণ করতে রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত শহরে প্রবাসী বাঙালিরা মেতে ওঠেন বাঙালি সংস্কৃতির অনাবিল আনন্দের মুক্ত ধারার স্রোতে।

পহেলা বৈশাখের সবচেয়ে বড় আয়োজন ছিল কুয়ালালামপুর কোতারায়া হলে। প্রবাসে বাঙালিদের মানবতার বাণী উচ্চারিত হয়েছে আমরা প্রবাসী সঙ্গের আয়োজনে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৬টায় রাগালাপ দিয়ে সূচনা হয় এ আয়োজনের।

সকল ভেদাভেদ ভুলে যেখানে সকল স্তরের প্রবাসীরা অংশগ্রহণ করলেও আসেননি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হাইকমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম। প্রবাসীরা বলছেন, হাইকমিশনার উপস্থিত থাকলে আরোও প্রাণবন্ত হতো অনুষ্ঠানটি।


তবে হাইকমিশনার না আসলেও থেমে থাকেনি অনুষ্ঠান। যথারীতি রবিঠাকুরের গানের পংক্তি ‘অন্তর মম বিকশিত করো অন্তরতর হে’, এসো হে বৈশাখ এসো এসো, স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে আমরা প্রবাসী যুবসংঘের পহেলা বৈশাখ উদযাপন।

বাঙালি সংস্কৃতিজাত গ্রামীণ ঝুমুর নৃত্যের তালে তালে বরণ করলো বাংলা নতুন বছর। বর্ষবরণ ১৪২৩ অনুষ্ঠান শিশুশিল্পী এবং বড়দের নাচ, গান, এবং দেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবার সামগ্রীর মনোমুগ্ধকর পরিবেশনার আয়োজন।

কর্মব্যস্ত মালয়েশিয়ায় বর্ষবরণের সবচেয়ে বড় আয়োজন এটি। আবহমান বাংলার ঐতিহ্য আর সংস্কৃতিকে মালয়েশিয়ায় পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য নিয়েই বর্ষবরণ উদযাপন করলো আমরা প্রবাসী যুবসংঘ।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.