প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রশংসায় আল্লামা শফি

sofiধর্মের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে যারা নোংরামি ছড়ায় তাদের কঠোর সমালোচনা ও হুঁশিয়ারি দিয়ে গত ১৪ এপ্রিলের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ ও ‘প্রশংসনীয়’ বলে উল্লেখ করেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। আল্লামা শফী বলেন, ‘প্রধামন্ত্রীর এই বক্তব্যে ধর্মবিদ্বেষী ব্লগারদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন পাস করার হেফাজতের দাবির যৌক্তিকতা প্রমাণিত হয়েছে।’ রোববার বিকেলে হেফাজতের আমিরের প্রেস সচিব মাওলানা মুনির আহমদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে হেফাজত আমির এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে হেফাজতের আমির আরও বলেন,‘ইসলাম-বিদ্বেষী ব্লগাররা আমাদের মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.) এবং পবিত্র ইসলামের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নোংরা ভাষায় কুৎসা রটিয়ে মুসলমানদের অন্তরে কতটা মারাত্মক গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করছে, বিলম্বে হলেও প্রধানমন্ত্রী এটা বুঝতে পেরেছেন।’ হেফাজতের আমির আরও বলেন, ‘ধর্মবিদ্বেষী ব্লগাররা এ দেশের কোটি কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে বিক্ষুব্ধ করে দেশের শান্তিশৃঙ্খলার জন্যে যে মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে এই বাস্তবতাও ফুটে উঠেছে। সেদিন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, ‘আমার ধর্ম সম্পর্কে কেউ যদি নোংরা কথা লেখে, সেটা কেন আমরা বরদাশত করব? ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু লিখলেই তারা মুক্তচিন্তার ধারক বলে দাবি করাটা যেন ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। কিন্তু আমি এখানে কোনো মুক্ত চিন্তা দেখি না। আমি দেখি নোংরামি।’ আল্লামা শফী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সেদিন বাংলাদেশের কোটি কোটি মুসলমানের হৃদয়ের কথাই বলেছেন।’ বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘ধর্মের বিরুদ্ধে কুৎসা ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার ভয়াবহ এই চক্রান্ত আঁচ করেই হেফাজতে ইসলাম ৩ বছর আগে থেকেই এদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে বারবার সরকারের প্রতি আহ্বান এবং ১৩ দফা দাবি উত্থাপন করেছে। যার অন্যতম দাবি ছিল, ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে কঠোর আইন পাস। আমাদের পক্ষ থেকে বারবারই বলা হচ্ছিল যে, হেফাজতের আন্দোলন ও প্রতিবাদ ছিল মানুষে মানুষে সৌহার্দ্য ও সামাজিক শান্তিশৃঙ্খলা অক্ষুণ্ণ রেখে জনগণের ঐক্যকে আরও মজবুত করে দেশকে উন্নতির দিকে এগিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই। প্রধানমন্ত্রী গত ১৪ এপ্রিল ইসলাম-বিদ্বেষী ব্লগারদের বিরুদ্ধে তার নিজস্ব মানসিক যন্ত্রণা ও ক্ষোভের যে প্রকাশ করেছেন, তাতে হেফাজতের দাবির যৌক্তিকতা জোরালোভাবে প্রমাণিত হয়েছে।’ বিবৃতিতে হেফাজত আমির বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান উপলব্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বিকৃত ও নোংরা মানসিকতার ধর্মবিদ্বেষী এসব দুষ্টচক্রকে দমন করার জন্যে অবিলম্বে ধর্ম অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে কঠোর আইন পাসের জন্যে তার প্রতি জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ, দেশের শান্তিশৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতার জন্যে এটা জরুরি।’ আরও বলা হয়,‘দেশে এ ধরনের কঠোর আইন ও আইনের প্রয়োগ থাকলে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী চরমপন্থার দিকে মানুষকে ঠেলে দেওয়ার কোনো সুযোগই পাবে না।’

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.