বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ অ্যাকাউন্ট থেকে চুরি যাওয়া অর্থের আরো ৪৩ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার (প্রায় ৩৪ কোটি টাকা) হস্তান্তর করেছেন ফিলিপাইনের ক্যাসিনো জাংকেট অপারেটর কিম অং।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সিনেট কমিটির শুনানিতে অংয়ের টাকা ফিরিয়ে দেয়ার এ তথ্য জানান দেশটির অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিলের (এএমএলসি) নির্বাহি পরিচালক জুলিয়া আবাদ। সোমবার আইনজীবীর মাধ্যমে এ টাকা পৌঁছে দিয়েছেন কিম অং।
রিজার্ভ চুরিতে জড়িতদের শনাক্ত করতে ফিলিপাইন সিনেটের অর্থ বিষয়ক কমিটির শুনানি শুরু হয় গত মার্চের শুরুতে। গত দেড় মাসে এ নিয়ে ষষ্ঠ দিনের শুনানির আয়োজন করলো দেশটির সিনেট কমিটি। শুনানিতে রিজার্ভ চুরির সঙ্গে ক্যাসিনো জাংকেট কিম অং, উইক্যাং ঝু, দুই চীনা নাগরিক শুহুয়া গাও, দিং জিজি, উইলিয়াম গো, ফিলিপিন্স ব্যাংক আরসিবিসি’র জুপিটার শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মাইয়া সান্তোস দেগুইতো, ওই শাখার কর্মকর্তা অ্যাঞ্জেলা তোরেস, বাংকের চেয়ারম্যান লোরেনজো তান এবং ফিলিপাইনের বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান ফিলরেমের প্রেসিডেন্ট সালুদ বাতিস্তার নাম উঠে আসে। তবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিপুল অংকের এ অর্থ চুরির মুল পরিকল্পনাকারি হিসেবে চিহিৃত করা হচ্ছে দুই চীনা ব্যবসায়ী শুহুয়া গাও, দিং জিজিকে।
সিনেট শুনানি উপস্থিত হয়ে গত ৩১ মার্চ ব্যবসায়ী কিম অং দু’দফায় একবার ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং ৪ এপ্রিল ৮ লাখ ২৯ হাজার মার্কিন ডলার ফেরত দেন। এ নিয়ে মোট ৯৭ লাখ ৯৯ হাজার ডলার ফিরিয়ে দিলেন ব্যবসায়ী কিম।
সিনেট কমিটির শুনানি এর আগে ফিলিপাইনের এ ক্যাসিনো জাংকেট প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, এ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হয়ে থাকলে তা ফিরিয়ে দেবেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ টাকার ৮১ মিলিয়ন ডলার যায় ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকের মাকাতি সিটির জুপিটার শাখায় ক্যাসিনো জাংকেট কিম অংয়ের অ্যাকাউন্টে।
বাকি ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠানো হয় শ্রীলঙ্কার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা শালিকা ফাউন্ডেশনের অ্যাকাউন্টে। প্রাপক সংস্থার নামের বানানে ভুল থাকায় ওই টাকার পেমেন্ট আটকে দেয় ব্যাংক কর্মকর্তারা।