চট্টগ্রাম থেকে মধ্যপ্রাচ্যে জনশক্তি রফতানিতে ধস

imagesমধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ভিসা দেয়ার পরিমাণ সীমিত করার পাশাপাশি নানা জটিলতার কারণে চট্টগ্রাম থেকে জনশক্তি রফতানিতে ধস নেমেছে। গত ৫ বছরে এ অঞ্চলে জনশক্তি রফতানি অর্ধেকে নেমে এসেছে। ২০১১ সালে এখান থেকে ৭৩ হাজার কর্মী কাজ করতে বিদেশ গেলেও গত বছর সে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩১ হাজারে।
জনশক্তি রফতানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালে শুধু চট্টগ্রাম থেকেই কাজের ভিসা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাঠানো কর্মীর সংখ্যা ছিল ৭৩ হাজার। এরপর পর্যায়ক্রমে এ সংখ্যা কমছে। ২০১২ সালে ৭০ হাজার, ২০১৩ সালে ৩৪ হাজার, ২০১৪ সালে ২৭ হাজার এবং ২০১৫ সালে ৩১ হাজার শ্রমিক কাজের ভিসা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে গেছে। আরব আমিরাত বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা দেয়া বন্ধ রেখেছে আর অন্যান্য দেশ ভিসা দেয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। ২০১১ সালে আরব আমিরাতে চট্টগ্রাম থেকে ৩৩ হাজার কর্মী পাঠানো হলেও গত বছর তা ছিলো মাত্র ৬৪০ জন। একইভাবে ওমানে ২০১১ সালে ৩২ হাজার শ্রমিক পাঠানো গেলেও গত বছর তা ১৫ হাজারে নেমে এসেছে। কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার না হলে জনশক্তি রফতানির পরিমাণ আরও কমবে বলে আশঙ্কা চট্টগ্রাম অঞ্চলের আটাব সভাপতি মোহাম্মদ আবু জাফর। এক্ষেত্রে রেমিট্যান্সের পরিমাণ বাড়াতে জনশক্তি রফতানি বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স সভাপতি মাহবুবুল আলম। তবে ২০১১ সালে চট্টগ্রাম থেকে ১২২ জন নারী শ্রমিক মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কাজের সন্ধানে গেলেও গত বছর তা বেড়ে ১ হাজার ৪১১ জনে এসে দাঁড়িয়েছে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.