‘গত ১০ বছরে বৈধভাবে কোনো সোনা আসেনি’

goldগত ১০ বছরে বাংলাদেশে যত সোনা এসেছে সবই অবৈধভাবে অর্থাৎ বৈধভাবে কোনো সোনা আসেনি বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) মাইনুল খান। বুধবার এনবিআর কার্যালয়ে আগামী অর্থবছরের (২০১৬-১৭) প্রাক-বাজেট আলোচনায় মইনুল খান এসব কথা বলেন। সোনা আমদানিতে শুল্ক হার কমানোর বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তার প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) মাইনুল খান বলেন, গত ১০ বছরে সোনা আমদানির অনুমতি চেয়ে একটি আবেদনও করা হয়নি। অর্থাৎ এ সময়ে বাংলাদেশে বৈধভাবে কোনো সোনা আসেনি। সবই আনা হয়েছে চোরাই পথে, অবৈধভাবে। বৈধভাবে সোনা আনার সুযোগ থাকার পরও অবৈধভাবে আনা হচ্ছে। সুতরাং কর কমানো হলেও অবৈধভাবে সোনা আনা বন্ধ হবে না বলে মত প্রকাশ করেন মাইনুল খান। শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের ডিজি আরও বলেন, ভরিতে ৩ হাজার টাকা হারে কর দিয়ে যে কেউ বিদেশ থেকে ২০০ গ্রাম বা সাড়ে ১৭ ভরি সোনা দেশে আনতে পারবেন। এছাড়া অলঙ্কার বা সোনার ব্যবসা করা যে কোনো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে যে কোনো পরিমাণ সোনা বৈধভাবে আনতে পারেন। একই বিষয়ে মূসক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, সোনা চোরাচালানে কালো টাকা ব্যবহার করা হয়। তাই সোনা আনতে শুল্ক শূন্য করে দিলেও তারা বৈধভাবে না এনে চোরাচালানের মাধ্যমে আনবে। এছাড়া সভায় কর্মকর্তাদের প্রস্তাব উপস্থাপনের পর এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বৃত্তবানদের সঠিকভাবে করের আওতায় আনা যায় আমরা তার ব্যবস্থা করব। গত ২৫ বছরে ভ্যাট আদায় করতে গিয়ে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। নতুন ভ্যাট আইনে এর প্রতিফলন ঘটবে। এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.