চীনের সঙ্গে টানটান উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধের প্রস্তুতি বাড়াচ্ছে ভারত।
সামরিকভাবে প্রস্তুতি বাড়ানোর অংশ হিসেবে চলতি বছরের ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে রাফালে যুদ্ধ বিমান ভারতের হাতে আসছে।
জানা গেছে, ভারতের হরিয়ানার আম্বালা সামরিক ঘাঁটিতে রাখা হবে রাফালে যুদ্ধ বিমান। ‘গোল্ডেন অ্যারো’ স্কোয়াড্রন চলতি বছরের আগস্টের মধ্যে তৈরি হয়েছে যাবে ।
বিমান ঘাঁটি কিংবা সমুদ্রের বুকে ভাসতে থাকা বিমানবাহী জাহাজের রানওয়ে থেকে উড়ে গিয়ে শত্রু ঘাঁটিতে হামলা চালাতে সক্ষম এই রাফালে যুদ্ধ বিমান।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতীয় বিমানবাহিনীর হাতে রাফালে যুদ্ধ বিমান আসার খবর বেইজিংয়ের কিছুটা উদ্বেগ বাড়াবে।
এদিকে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকায় অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র মজুত করছে লালফৌজ। ভারতের আকাশসীমার খুব কাছাকাছি উড়ছে চীনা যুদ্ধবিমান-চপার।
ভারতও বসে নেই। এরই মধ্যে সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার অতিরিক্ত সেনা, টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাংক, বসানো হয়েছে জমি থেকে আকাশমুখী ক্ষেপণাস্ত্র, এয়ার সার্ভিল্যান্স সিস্টেম।
রাশিয়া, ইসরায়েলের মতো একাধিক দেশ থেকে প্রায় শত কোটি টাকার সামরিক অস্ত্র কিনেছে ভারত। যা দফায়-দফায় দেশে এসে পৌঁছছে। এই মধ্যে বিশ্বের প্রথমসারির যুদ্ধ বিমান হাতে আসা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
জানা গেছে, ফ্রান্স থেকে ৫৯ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে ৩৬টি রাফালে যুদ্ধ বিমান কিনেছে ভারত। ভারতীয় বিমানবাহিনীর হাতে ২০২২ সালের মধ্যে সবগুলো বিমান চলে আসবে।
দুটি স্কোয়াড্রন তৈরি করা হবে রাফালে যুদ্ধ বিমানের। একটি আম্বালা সামরিক ঘাঁটি ও অন্যটি বাংলার হাসিমারা বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে রাখা থাকবে।