শফিক রেহমানের ফের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন

shafik-rehman-wb1461308453সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমানের ফের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তার এ রিমান্ড আবেদন করা হয়।

শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এএসপি হাসান আরাফাত। বিকেল ৩টায় রিমান্ড আবেদনের ওপর ঢাকার সিএমএম আদালতে শুনানি হবে।

রাজধানীর ইস্কাটনের নিজ বাসা থেকে গত ১৬ এপ্রিল সকালে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে রাজধানীর পল্টন থানায় করা জয়কে অপহরণ ও হত্যা পরিকল্পনা মামলার তদন্তে শফিক রেহমানের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

ওই দিনই তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে ডিবি পুলিশ। শুনানি শেষে তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জাসাসের সহ-সভাপতি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন এবং দেশে ও দেশের বাইরে অবস্থানরত বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র করে। প্রাপ্ত তথ্যসমূহ পর্যালোচনা করে সন্দেহ করা হচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশসহ বিশ্বের যে কোনো দেশে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্ব উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের জীবননাশসহ যে কোনো ধরনের ক্ষতির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন। এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে বিএনপির হাই কমান্ড দেশ ও দেশের বাইরে থেকে অর্থায়ন করে।

২০১৫ সালের ৪ আগস্ট ডিবির পরিদর্শক ফজলুর রহমান এ বিষয়ে পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন, যা পরে মামলায় রূপান্তরিত হয়। শফিক রেহমানকে ওই মামলাতেই গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

২০১৫ সালে এফবিআইকে ঘুষ দেওয়ার রিজভী আহমেদ সিজারকে ৪২ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করে দেশটির আদালত। বাংলাদেশি এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সংরক্ষিত তথ্য পেতে ২০১১ সালে এফবিআইয়ের স্পেশাল এজেন্ট রবার্ট লাস্টিককে এ ঘুষ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশি ওই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম মার্কিন আদালতের নথিপত্রে উহ্য রাখা হলেও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা জয়ই সে ব্যক্তি বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ দাবি করা হয়।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.