ডোনান্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অভিবাসীদের ওপর নেমে আসে নানা ধরনের নির্যাতন।
বিশেষ করে যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই, তাদের অবস্থা আরও ভয়াবহ। অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে একরকম যুদ্ধই ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প।
তাদের ধরতে নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন রাজ্যে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়েছে।
করোনার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ট্রাম্প প্রথমে তিনমাসের জন্য সব ওয়ার্কিং ভিসা স্থগিত করেছিলেন। যা গত সপ্তাহে বাড়িয়ে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত করা করেছেন।
এ নির্বাহী আদেশ জারি করার সময় তিনি অজুহাত হিসাবে উল্লেখ করেছেন, এখন আমেরিকানরাই অধিক সংখ্যায় বেকার।
আমেরিকানদের বেকারত্ব দূর করতেই তিনি এ নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন।
এ রায়ে রাতেই আমেরিকার সীমান্তবর্তী স্টেটগুলোর ডিটেনশন সেন্টারে যেসব বাংলাদেশি ছিলেন, তাদের টেক্সাসের পরারিল্যান্ড ডিটেশন সেন্টারে নিয়ে আসা হয়।
পরে ওইদিন রাতেই তাদের বিশেষ একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ২৫ জুনের ওই বিশেষ ফ্লাইটে প্রায় ৮৩ জন বাংলাদেশি ছিলেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, যে ৮৩ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরৎ পাঠানো হয়েছে, তাদের মধ্যে ২০ জনের করোনাভাইরাস রয়েছে।
এর আগেও বাংলাদেশে পাঠানোর উদ্দেশ্যে তাদের বিমানেও তোলা হয়েছিল কিন্তু কোনো ডকুমেন্ট না থাকায় তাদের পাঠানো সম্ভব হয়নি।
তাদের ১০ ঘণ্টা বিমানের মধ্যে আটকে রাখা হয়েছিল। এরই মধ্যে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করলে ৮৩ জন বাংলাদেশির ডকুমেন্ট পাঠানো হয়।
ডকুমেন্ট পাওয়ার সাথে সাথেই তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়।