আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দিল টার্কিশ এয়ারলাইন্স।
বাংলাদেশে ১ জুলাই থেকে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেয়েছিল তারা।
তবে তুরস্কের সিভিল এভিয়েশনের হঠাৎ দেয়া সিদ্ধান্তে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ফ্লাইট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানায় টার্কিশ এয়ারলাইন্স।
আজ টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরন করে। এই ফ্লাইট অবতরন করার সংবাদে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের যাত্রীরা ফ্লাইট চলাচলের ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে জানা যায়, শিডিউল ফ্লাইটের নামে আজ ঢাকায় আসা টার্কিশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি ছিলো কার্গো ফ্লাইট এবং আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণার দেয় টার্কিশ এয়ারলাইন্স।
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে টার্কিশ এয়ারলাইন্স জানায়, সকল যাত্রী সাধারণের সুস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও মঙ্গল আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
ইতোমধ্যে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সার্বিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ এবং এর বিস্তার রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তুরস্ক ও
দেশটির পতাকাবাহী সংস্থা টার্কিশ এয়ারলাইন্স।
সাম্প্রতিক সময়ে সংক্রমণের পরিধি নিয়ন্ত্রণে আসতে থাকা দেশগুলোতে পুনরায় বিমান চলাচলের পরিকল্পনা গৃহীত হয়।
তদুপরি, তুরস্কের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের করোনা পরিস্থিতির আকস্মিকতায় পুনর্বিবেচনায় তারা যাত্রী পরিবহনে সাময়িক বিরতি প্রদানের নতুন নির্দেশনা দিয়েছে।
তাই টার্কিশ এয়ারলাইন্স আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত ইস্তাম্বুল-ঢাকা-ইস্তাম্বুল রুটের ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করতে বাধ্য হচ্ছে।
বিমান সংস্থাটি আরও জানায়, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে শতাধিক যাত্রীর সশরীরে অফিসে আগমন একই সঙ্গে ঝুকি ও সরকারি স্বাস্থ্যবিধির অন্তরায়।
তাই এইমর্মে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত যাত্রীদের সকল প্রশ্ন ও আবেদন ০১৮৪৪০৫৯৯৬১ নম্বরে কল করে ও info@aeromate.com.bd
ঠিকানায় ই-মেইল করতে হবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক গ্রাহকরা সপ্তাহে সাতদিন ২৪ ঘণ্টা +৯০৮৫০৩৩৩০৮৪৯ নম্বর ও ওয়েবসাইট থেকে সেবা নিতে পারবেন।
এর আগে প্রথম দফায় ৩ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিল টার্কিশ এয়ারলাইন্স।