পাকিস্তান-নেপালের চেয়ে বাংলাদেশের পাসপোর্ট শক্তিশালী

করোনা আসার আগে ইতিহাসের যেকোনো সময়ের চেয়ে সহজভাবে চলাফেরা করতে পারছিল মানুষজন।
কয়েক দশক ধরে এয়ার ট্র্যাফিক স্থিতিশীল ছিল এবং গড়পড়তা পাসপোর্টধারীরা বিশ্বের প্রায় ১০৭টি গন্তব্যে ভিসামুক্ত

বা অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা পাচ্ছিল। খবর সিএনএনের।

কিন্তু করোনার কারণে সবকিছু থমকে গেছে। বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিতেও বাধ্য হয়েছে।

তবে অল্প অল্প করে কিছু কিছু দেশ পর্যটকদের জন্য খুলতে শুরু করেছে।

এরই মধ্যে হেনলি পাসপোর্ট সূচক প্রকাশিত হয়েছে।
এটি নতুন দশকে সংস্থাটির তৃতীয় পার্সপোর্ট সূচক। বিশ্বের সবচেয়ে পর্যটক বান্ধব পাসপোর্ট কোন দেশের-এই

মানদণ্ডের ভিত্তিতে এই পাসপোর্ট সূচক প্রকাশ করে থাকে হেনলি। আর পর্যটক বান্ধব দেশগুলোর তালিকায়

বরাবরের মতো এবারও এগিয়ে এশিয়ার দেশগুলো।
আর তাই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে জাপান। দেশটির পাসপোর্ট দিয়ে বিশ্বের

১৯১টি গন্তব্যে ভিসামুক্ত বা অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা পাওয়া যায়। হেনলির এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানের

রয়েছে সিঙ্গাপুর। সিঙ্গাপুরের পাসপোর্টধারীরা ১৯০টি গন্তব্যে ভিসামুক্ত বা অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা পায়।
তালিকায় যৌথভাবে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জার্মানি। দেশ দুটির পাসপোর্টধারীরা ১৮৯টি

গন্তব্যে ভিসামুক্ত বা অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা পায়। এরপর তালিকার চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে-ইতালি,

ফিনল্যান্ড, স্পেন, লুক্সেমবার্গ। পঞ্চম স্থানে রয়েছে ডেনমার্ক ও অস্ট্রিয়ার পাসপোর্ট। ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে সুইডেন,

ফ্রান্স, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস ও আয়ারল্যান্ড। আর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে সপ্তম অবস্থানে আছে

সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, নরওয়ে ও বেলজিয়াম।
এদিকে কম শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায়ও শীর্ষে রয়েছে এশিয়ারই একটি দেশ। দেশটি হলো আফগানিস্তান। আফগানিস্তানের পাসপোর্টধারীরা বিশ্বের ২৬টি গন্তব্যে ভিসামুক্ত বা অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা পায়।

এই তালিকায় আরও রয়েছে- ইরাক, সিরিয়া, পাকিস্তান, সোমালিয়া ও ইয়েমেন।
অন্যদিকে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী হচ্ছে মালদ্বীপের পাসপোর্ট।

হেনলির তালিকায় ৬২তম অবস্থানে থাকা দেশটির পাসপোর্টধারীরা বিশ্বের ৮৫টি গন্তব্যে ভিসামুক্ত বা

অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা পায়। এছাড়া ভারত (৮৫তম), ভুটান (৯০তম),বাংলাদেশ (১০১তম),

নেপাল (১০৪তম), পাকিস্তান (১০৬তম) ও আফগানিস্তান (১০৯তম)।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.