বাংলাদেশ থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইতালীতে সব ধরনের ফ্লাইট ও যাত্রী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার তথ্যটি সঠিক ছিল না। ঢাকাস্থ ইটালি দূতাবাসও এ সংক্রান্ত কোন নির্দেশনা ঘোষণা করেনি। শুধু ৭ জুলাই এক সপ্তাহের জন্য অর্থাৎ ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে সব ধরণের ফ্লাইট স্থগিত ঘোষণা করেছিল। এ ছাড়া আর কোন বিধি নিষেধ ঘোষনা করা হয়নি।
তবে কাতার এয়ারওয়েজ ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে কোন যাত্রী পরিবহন করবে না বলে একটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল মিডিয়াতে। যেটি ছিল কাতার এয়ারওয়েজের একান্তই নিজস্ব সিদ্ধান্ত। এর সঙ্গে ইতালি সরকারের কোন সম্পর্ক ছিল না। ওই ঘোষনায় বলা হয়েছিল ৫ অক্টোবর পর্যন্ত তাদের ফ্লাইটে বাংলাদেশ থেকে কোন কোন যাত্রী ইতালীতে পরিবহন করা হবে না।
বাংলাদেশ বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোকাব্বির হোসেন জানান, ইতালিতে বাংলাদেশী যাত্রী ও ফ্লাইট নিষিদ্ব হওয়ার খবর যেভাবে ভাইরাল করা হয়েছে সেটা ঠিক নয়। এভাবে মিডিয়া দায়িত্বহীন কান্ড ঘটাবে এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। মিডিয়া কোথায় এ নিউজ পেলো সেটারও কোন সূত্র নেই।
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে গত ৭ জুলাই ইতালী দূতাবাস থেকে বিমান বাংলদেশ এয়ারলাইন্সকে শুধু ৭ দিনের অর্থাৎ ১৪ জুলাই পর্যন্ত দুটো ফ্লাইটের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকেও সব ধরণের ফ্লাইট বন্ধ রাখার নির্দেশনা ছিল।
বাংলাদেশ থেকে একমাত্র ইতালির নাগরিক, সেনজেন ভিসাধারী ইইউ দেশগুলোর নাগরিক ও পাসপোর্টধারী এ বিধিনিষেধের আওতার বাইরে থাকবেন। তবে ১৪ জুলাইয়ের পর ইতালি এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবে বলেও জানানো হয়েছে। কিন্তু ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশী যাত্রী ও ফ্লাইট ইতালিতে নিষিদ্ব করা হয়েছে এমনটি ইতালিও স্বীকার করছে না। ঢাকাস্থ দূতাবাসও এ সম্পর্কে অবহিত নয়।
এ বিষয়ে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ আশীষ রায় চৌধুরি বলেন- একদিকে নকল করোনা সনদের কারণে ইটালিতে বাংলাদেশীদের নিয়ে নানা জটিলতা দেখা দিযেছে অন্যদিকে গুজব রটিয়ে সেটাকে আরও ভয়ংকর করে তোলা দেশের জন্য চরম সর্বনাশের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। এতে আন্তজার্তিক ভাবে বাংলাদেশকে যেভাবে ঝুকির মধ্যে ফেলা হয়েছে তা কিছুতেই কাম্য নয়। এগুলো খুব সতর্কভাবে মোকাবিলা দরকার।