দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর মায়া বলেছেন, ‘ভূমিকম্প মোকাবিলা ও পরবর্তী উদ্ধার অভিযানে সফল অংশগ্রহণের জন্য ৬২ হাজার আরবান সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ ভলান্টিয়ার তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া ইতোমধ্যে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।’
মঙ্গলবার বিকেলে (২৬ এপ্রিল) দশম জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশনে চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলম এর এ বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে ত্রাণ মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘জনসচেতনাতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ভূমিকম্প চলাকালে ও ভূমিকম্প পরবর্তী জনগণের করণীয় সম্পর্কে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার, লিফলেট বিতরণ ও বিলবোর্ড স্থাপনসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘ইতোমধ্যেই ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভূমিকম্প ঝুঁকি মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে এবং টাঙ্গাইল, রংপুর, বগুড়া, ময়মনসিংহ ও রাজশাহীর ভূমিকম্প ঝুঁকি মানচিত্র তৈরি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত বছর শক্তিশালী ভূমিকম্পে নেপাল ব্যাপক প্রাণহানি হয়। এর পর বাংলাদেশেও কয়েক দফায় ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। সম্প্রতি ভূমিকম্প নিয়ে দেশবাসী অনেকটাই শঙ্কিত। সর্বশেষ গত ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ১২৫ কিলোমিটার গভীরতাসম্পন্ন ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের মাওলাইকে। শুধু বাংলাদেশেই নয়, একই সময়ে ভারত, পাকিস্তান ও নেপালেও এই ভূকম্পন অনুভূত হয়।