বন্দরে পণ্য লাইটারিং বন্ধ, শতকোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা

CTG1462006899নৌযান শ্রমিক এবং পরবর্তী সময়ে লাইটারেজ জাহাজ মালিকদের ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ৬৭টি জাহাজ থেকে পণ্য লাইটারিং বন্ধ রয়েছে।

৯ দিন ধরে টানা এই অচলাবস্থার কারণে বড় অঙ্কের অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি পণ্য খালাসে অপেক্ষমাণ জাহাজের ‘ডেমারেজ’ খাতেও শতকোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা ৬৭টি জাহাজ ৯ দিন ধরে পণ্য খালাসের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অপেক্ষা করছে। প্রথমে মজুরি বৃদ্ধির জন্য লাইটারেজ জাহাজ ও নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট এবং পরে মজুুরি বৃদ্ধির ঘোষণা বাস্তবায়ন সম্ভব নয় জানিয়ে লাইটারেজ জাহাজ মালিকদের ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য লাইটারিংয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) জাফর আলম জানান, যেসব আমদানিকারকের নিজস্ব লাইটার জাহাজ রয়েছে- তারা নিজেদের জাহাজ দিয়েই বহির্নোঙরে মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস করছে। কিন্তু যেসব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব লাইটার জাহাজ নেই তারা লাইটার জাহাজ ভাড়া করে পণ্য খালাস করে থাকেন। কিন্তু লাইটার জাহাজ মালিকরা ধর্মঘট অব্যাহত রাখায় অধিকাংশ মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাসে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এই অচলাবস্থা নিরসনে শনিবার বন্দর ভবনে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন পণ্য আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, ৯ দিন ধরে পণ্য খালাস না হওয়ায় এবং জাহাজগুলো পণ্য খালাসের অপেক্ষায় বহির্নোঙরে অলস দাঁড়িয়ে থাকায় কোটি কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিটি জাহাজের জন্য দৈনিক ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ গুনতে হবে ব্যবসায়ীদের। এই ক্ষতি দেশের অর্থনীতির ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম জানান, লাইটারেজ জাহাজ মালিক শ্রমিকদের ধর্মঘটের ফলে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে এতে ব্যবসায়ীদের বড় ধরনের মাশুল গুনতে হবে। ব্যবসায়ীরা এতে কোটি কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.