গত বছর থেকে বাংলাদেশে জাতিগত উগ্রপন্থি হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। আইসিসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এসব হত্যকাণ্ড ঘটানো হচ্ছে। এর সর্বশেষ শিকার টাঙ্গাইলের দর্জি নিখিল চন্দ্র জোয়ারদার। এসব হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করছে ইসলামী উগ্রপন্থিরা। কিন্তু বরাবরের মতোই সরকার এমন স্বীকারোক্তির বিষয় প্রত্যাখ্যান করছে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা লিখেছেন ঋষি ইয়েঙ্গার। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে এক মাসে ৫টি একই ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এর সর্বশেষ শিকার নিখিল। ধারণা করা হচ্ছে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে ইসলামী উগ্রপন্থিরা। টাইমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সপ্তাহান্তে একজন হিন্দুকে হত্যার অভিযোগে বাংলাদেশে আটক করা হয়েছে তিনজনকে। এসব হত্যার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড গ্রেটার সিরিয়া (আইসিস)-এর মতো উগ্রপন্থিরা। নিখিল জোয়ারদারকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর একজন নেতা ও বিরোধী দল বিএনপির একজন নেতা। আইসিস এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। বরাবরের মতোই বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গ্রুপের উপস্থিতি নেই বলে দাবি করছে বাংলাদেশ।
নিখিল জোয়ারদারের ওপর তিন মটর সাইকেল আরোহী হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। তিন সপ্তাহের মধ্যে একজন এলজিবিটি অধিকারকর্মী, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রফেসর ও আইনের একজন চাত্রকে হত্যার পর তাকে হত্যা করা হলো। এ নিয়ে ইসলামী উগ্রপন্থিদের পঞ্চম শিকারে পরিণত হলেন নিখিল। এর মধ্যে কমপক্ষে একটি হামলার দায় স্বীকার করেছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়েদার স্থানীয় শাখা আনসার আল ইসলাম।
গত এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশে এমন হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। হত্যা করা হয়েছে কমপক্ষে এক ডজন মানুষকে। এর মধ্যে রয়েছেন কয়েকজন ধর্মনিরপেক্ষ ব্লগার, ইতালির একজন যাজক, জাপানি একজন সহায়তাকর্মী।