সিঙ্গাপুরে আইএস সন্দেহে আটক ৮ বাংলাদেশির পরিকল্পনা ছিলো বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে উৎখাত করা। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চলতি বছর মার্চে সিঙ্গাপুরে বসে ইসলামিক স্টেট বাংলাদেশ বা আইএসবি নামে গোপন সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে তারা।
ইরাক ও সিরিয়ায় গিয়ে আইএসে যোগ দেয়ার নির্দেশ থাকলেও; বাংলাদেশে ফিরে সরকার উৎখাতের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে এই আইএসবি গঠন করে তারা।
তাদের লক্ষ্য ছিলো, সরকারকে উৎখাত করে ইসলামি রাষ্ট্র কায়েমের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আইএসের স্বঘোষিত খিলাফতের অন্তর্ভুক্ত করা।
সিঙ্গাপুরের পুলিশ বলছে, আইএসবি’র নেতা মিজানুর রহমান যিনি সিঙ্গাপুরে সিকিউরিটি পাসধারী ছিলেন। তার কাছ থেকে ‘আমাদের জন্য জিহাদ প্রয়োজন’ শিরোনামে নথি উদ্ধার করা হয়েছে।
ওই নথিতে আইএসবি’র আক্রমণের টার্গেট হিসেবে, বাংলাদেশের কতিপয় সরকারি ও সামরিক কর্মকর্তার নাম রয়েছে। তালিকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি), বিমান বাহিনী, নৌ বাহিনী ও এলিট ফোর্স র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাবকে টার্গেট করা হয়েছে। এছাড়া মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধি ও নাস্তিকদের টার্গেট করা হয়েছে।
সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরিকল্পনা ও টার্গেট বাস্তবায়নে অস্ত্র কেনার জন্য অর্থ যোগাড় করছিলো আইএসবি। এ অর্থ জব্দ করা হয়েছে।
সিঙ্গাপুর বলছে, এই গ্রুপের কাছে আইএস ও আল কায়েদার ব্যবহৃত সর্বাধুনিক অস্ত্র এবং বোমা তৈরির ফর্মুলা পাওয়া গেছে।
এক্স-৫০ স্পাইনার রাইফেল কিভাবে ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ করতে হয় এ সম্পর্কে তাদের কাছ থেকে তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের শেষ দিকে সিঙ্গাপুরে ২৭ বাংলাদেশি শ্রমিককে আটক করা হয়েছিল। তারা একটি উগ্রবাদী ধর্মীয় গোষ্ঠীর স্টাডি গ্রুপের সঙ্গে জড়িত ছিল। তাদেরকেও ইন্টারনাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে আটক করা হয়। জানুয়ারিতে এদের প্রকাশ্যে আনা হয়। পরে সবাইকেই সিঙ্গাপুর থেকে বের করে দেয়া হয়।