হাজার হাজার এভিয়েশনকর্মীর চাকরি যাতে না যায় সেজন্য পদক্ষেপ নেয়ার বিবেচনা করছে হোয়াইট হাউজ। নির্বাচনের এক মাস আগে যাতে এত কর্মীর চাকরি যাতে না যায় সেজন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। যদি অতিরিক্ত অর্থ ছাড়ের ক্ষেত্রে কংগ্রেসের সঙ্গে যদি চুক্তিতে না পৌছানো যায়, তাহলে হোয়াইট হাউজ বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে এভিয়েশনকর্মীদের চাকরি রক্ষায় ব্যবস্থা নেবে। মার্কেটওয়াচের খবর।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রামের প্রধান কর্মকর্তা মার্ক মেডোস বুধবার জানিয়েছেন, যদি কংগ্রেসে কোনো কাজ না হয়, সমাধান না আসে, তাহলে ট্রাম্প নিজেই ওই সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করবেন। সুতরাং এয়ারলাইন্সগুলোর জন্য আশাব্যঞ্জক খবর আছে। তাদের কর্মীদের আর ছাটাই করা কিংবা বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠাতে হবে না।
এই সপ্তাহে আমেরিকান এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, অক্টোবরে ১৭ হাজার ৫০০ কর্মীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হবে বলে আশঙ্কা রয়েছে। তাদের মধ্যে বিমান পরিচারিকা ও পাইলট রয়েছে। আর ১৫০০ কর্মীর বেতন কাটা হবে। যদি ওয়াশিংটন আরও ২৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ না দেয় তাহলে এতকিছু ঘটে যাবে। বেতন কর্তনের বিষয়টি মেনে না নেয়া হলে ডেলটা এয়ারলাইন্সের ১৯৪১ কর্মীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হবে বলে খবরে বলা হয়েছে।
এদিকে বিমানসংস্থা ও তাদের ইউনিয়নগুলো কংগ্রেসে চাপ অব্যাহত রেখেছে এবং এভিয়েশন শিল্পের সহায়তার জন্য আরও করদাতার সহযোগিতা অনুমোদন করবে হোয়াই হাউজ।
চলতি বছরের শুরুর দিকে এভিয়েশন শিল্প রক্ষায় কংগ্রেস ও ট্রাম্প ২.২ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়ের প্যাকেজে একমত হয়। এয়ারলাইন্সে করোনা মহামারী প্রতিরোধে ইতোমধ্যে ওই প্যাকেজের ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড় করা হয়েছে। ওই চুক্তিতে উল্লেখ ছিল, অর্থ ছাড় পেলে এয়ারলাইন্সগুলো তাদের কর্মীদের ছাটাই করতে পারবে না। কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল।
মেনডোস বলছেন, কর্মীদের যাতে ছাটাই না করা হয় সেজন্য ইউনাইটেড, আমেরিকান এবং ডেলটা এয়ারলাইন্সের লোকজনের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কথা বলেছেন।
অ্যাসোসিয়েশন অব ফ্লাইট অ্যাটেন্ড্যান্টসের সভাপতি সারা নেলসন বলেছেন, লক্ষ্য পূরণে এয়ালাইন্স ইউনিয়নগুলো কাজ করে যাচ্ছে। তবে নেতারা বললেই তো আর চাকরি রক্ষা হবে না। সেজন্য কংগ্রেসে বিষয়টি পাস হতে হবে। ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, বিমানভ্রমণের চিত্র আগের মতো ফিরে আসতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
সূত্র: মার্কেটওয়াচ