আকাশসেবা খাতে অবকাঠামো নির্মাণে চলতি বছর চীন ১ হাজার ১৯০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে। দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া এ তথ্য দিয়েছে। খবর রয়টার্স।
বুধবার সিভিল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব চায়না (সিএএসি) বলেছে, বিমানবন্দরগুলোর উন্নয়নকে কেন্দ্র করে এ বিনিয়োগ কর্মসূচির পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কর্মসূচিটির অধীনে ১১টি গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণ প্রকল্প এবং বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে আরো ৫২টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এক সাক্ষাত্কারে সিএএসি প্রধান ফেং ঝেংলিন বলেন, ‘শিল্প খাতের উন্নয়ন ও সামাজিক সম্পৃক্তি উভয় ক্ষেত্রেই বর্তমানে বেসামরিক বিমান চলাচল খাত, বিশেষ করে উড়োজাহাজ নির্মাণ ও গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
এদিকে বুধবার পৃথক এক বিবৃতিতে চীনের মন্ত্রিপরিষদ জানিয়েছে, দেশটির বিমান চলাচল শিল্পের উন্নয়নে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে। এছাড়া স্বল্প উচ্চতার আকাশসীমা উন্মুক্ত করার ব্যাপারেও মন্ত্রিপরিষদ কাজ করবে বলে জানানো হয়েছে। এতে করে হেলিকপ্টার ও ছোট আকারের আকাশযানের বাজার থেকে একটি প্রতিবন্ধকতা দূর হবে।
এভিয়েশন-বিষয়ক প্রকাশনা ফ্লাইটগ্লোবালের এশিয়া ম্যানেজিং এডিটর গ্রেগ ওয়ালড্রন বলেন, ‘স্বল্প সীমা উন্মুক্ত করে দিলে তা চীনের পর্যটন, জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ও পাইলট প্রশিক্ষণ ব্যবস্থায় বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’ সাধারণত বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ স্বল্প উচ্চতার আকাশসীমা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। বেশির ভাগ দেশেই বেসামরিক কর্তৃপক্ষ সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিলে সামরিক ও বেসামরিক আকাশযান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে। তবে চীনের আকাশসীমা দেশটির সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ করে। উড়োজাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রেও সেনাবাহিনী অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে।
অবশ্য গত কয়েক বছরে ১ হাজার মিটারের কম উচ্চতায় আকাশযান চলাচলের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করেছে বেইজিং। তবে কিছু এলাকায় চলাচলের জন্য বেসামরিক আকাশযানগুলোকে এখনো আগে থেকে সেনাবাহিনীর অনুমতি নিতে হয়।
আরও খবর