মিশরের বিমান সংস্থা ইজিপ্ট এয়ারের নিখোঁজ এমএস৮০৪ ফ্লাইটের বিমানটির অনুসন্ধানের সময় সাগরে পাওয়া ধ্বংসাবশেষের প্রথম ছবি প্রকাশ করেছে মিশরীয় সামরিক বাহিনী।
ধ্বংসাবশেষের মধ্যে রয়েছে পোশাক, সিটের অংশ এবং এমন সব বস্তু, যা পরিষ্কারভাবে ইজিপ্ট এয়ারের বলে মনে হচ্ছে।
বিবিসি অনলাইনের এক খবরে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইজিপ্ট এয়ারের এয়ারবাস এ৩২০ মডেলের বিমানটি ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস থেকে মিশরের রাজধানী কায়রোর উদ্দেশে যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরের আকাশে প্রায় ১১ হাজার মিটার উঁচুতে থাকা অবস্তায় রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়।
অনুসন্ধানকারীরা নিশ্চিত হয়েছেন, নিখোঁজ হওয়ার তিন মিনিটি আগে বিমানটির বিভিন্ন অংশে ধোয়ার সৃষ্টি হয়। তবে কী কারণে তা হয়, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি তারা।
নিখোঁজ বিমানে থাকা যাত্রীদের স্বজনদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেন-মার্ক আয়রাউল্ট বলেন, ‘সব ধরনের তাত্ত্বিক পরীক্ষা করা হয়েছে কিন্তু কোনোটিই অনুকূলে আসেনি।’
মিশরের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা ছবিতে পরিধেয় পোশাক ও অন্যান্য বস্তু ইজিপ্ট এয়ারের লোগসহ দেখানো হয়েছে। অনুসন্ধানের সময় দেহাংশ ও লাগেজও পাওয়া গেছে।
তবে বিমানটির প্রধান অংশ ও দুটি ব্লাক বক্স এখনো পাওয়া যায়নি। ব্লাক বক্স পাওয়া গেলে ফ্লাইটের তথ্য-উপাত্ত ও ককপিটের সঙ্গে রাডার যোগাযোগের তথ্য উদঘাটন করা যাবে।
ফ্লাইট পর্যবেক্ষণভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য অ্যাভিয়েশন হেরাল্ড’ জানিয়েছে, বিমানটি সিগনাল থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে ধোয়া শনাক্তকারী যন্ত্রটি ছিটকে টয়লেটে গিয়ে পড়ে। তিনটি আলাদা সূত্র থেকে এমএস৮০৪ ফ্লাইটের অ্যাভিয়েশন কমিউনিকেশন অ্যাড্রেসিং অ্যান্ড রিপোর্টিং সিস্টেম (এসিএআরএস) সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে অ্যাভিয়েশন হেরাল্ড।
এদিকে গ্রিস, ফ্রান্স ও মিশর শেষ পর্যন্ত একমত হয়েছে যে, এমএস৮০৪ ফ্লাইটের বিমানটি ভূমধ্যসাগরে কোথাও বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটি বিধ্বস্তের আগে অন্তত দুই বার পাক খায়।
ফ্লাইট বিশেষজ্ঞরা বিমানটিতে সন্ত্রাসী হামলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তবে সত্যিই কী কারণে বিমানটি নিখোঁজ বা বিধ্বস্ত হয়েছে, তা এখনো অজানা। এ অবস্থায় ভূমধ্যসাগরে ফ্রান্স, গ্রিস ও মিশর কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে তল্লাশি অভিযাচন চালিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিমানটিতে ৬৬ আরোহী ছিলেন। তাদের কাউকেই এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।