ফের বিশেষ ফ্লাইট শুরু

বিশেষ ফ্লাইটে করে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ৫টি দেশে যাচ্ছেন প্রবাসীরা।

রোববার (১৮ এপ্রিল) সকালে শনিবার বাতিল হওয়া ফ্লাইটগুলোর যাত্রীরা ভিড় করেছেন রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
সেখানে তাদের চেকিং চলছে।
কিন্তু সিঙ্গাপুরের বাতিল হওয়া বিমানের ফ্লাইটের বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি। সিঙ্গাপুরের যাত্রীরা কিছুটা উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন।

এদিকে, প্রবাসীদের জন্য বিশেষ ফ্লাইটের টিকিটও বিক্রি শুরু হয়েছে আবারো। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের সামনে টিকিট সংগ্রহের জন্য ভিড় করছেন প্রবাসীরা।
এ সময় এমন অব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

এদিকে, শনিবার অবতরণের অনুমতি না পাওয়া ও যাত্রী সংকটের কারণে ৭টি বিশেষ ফ্লাইট বাতিল করা হয়।
বিশেষ ফ্লাইট চালুর প্রথম দিনে মোট ১৪টি ফ্লাইট আসা ও যাওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে ১০টি যাওয়া ফ্লাইটের মধ্যে ৫টি বাতিল করা হয়।
আর আসার ৪টি ফ্লাইটের মধ্যে দুটি বাতিল করা হয়।
আসা-যাওয়া মিলিয়ে মোট ৭টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়।

গতকাল ল্যান্ডিং পারমিশন পেতে বিলম্ব ও যাত্রী স্বল্পতায় ফ্লাইটগুলো বাতিল করা হয়েছে বলে জানান শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ-উল-আহসান।

বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের নিজ নিজ কর্মস্থলে পৌঁছানোর সুবিধার্থে গতকাল শনিবার ভোর থেকে পরবর্তী এক সপ্তাহে সৌদি আরব, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সিঙ্গাপুরে প্রায় ১০০টি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
গত ১৫ এপ্রিল এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত ১১ এপ্রিল বেবিচক জানায়, ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন চলাকালীন সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকবে।
১২ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দেওয়া প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধ থাকবে।

পরে গত ১৫ এপ্রিল এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে শনিবার থেকে পরবর্তী এক সপ্তাহে সৌদি আরব, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সিঙ্গাপুরে প্রায় ১০০টি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনের কারণে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার অভিবাসী শ্রমিকদের তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে ফেরার সুযোগ করে দিতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নেয়।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.