চীনের নিয়ন্ত্রণহীন রকেটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
মার্কিন সময় শনিবার এটি পৃথিবীতে এসে পড়তে পারে। চীনকে মহাকাশে মিশন পরিচালনার ক্ষেত্রে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। খবর গার্ডিয়ানের।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, মহাকাশে দায়িত্বশীল আচরণ ও নেতৃত্ব এগিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আমরা কাজ করতে চাই। এ ছাড়া মহাকাশে ক্রমবর্ধমান তৎপরতার কারণে তৈরি হওয়া ঝুঁকি নিরসনে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারাবদ্ধ।
মার্কিন মহাকাশ কমান্ড লং মার্চ ৫বি’র ওই অবশিষ্টাংশের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে। তারা বলছে, পৃথিবীতে এসে পড়তে যাওয়া মহাকাশ বর্জ্যের মধ্যে রকেটের অনিয়ন্ত্রিত ৩০ মিটার দীর্ঘ অংশটিও রয়েছে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী জোনাথন ম্যাকডাওয়েল বলেন, রকেটের বেশ কয়েকটি অংশ পৃথিবীতে প্রবেশ করতে পারে। এটি ছোট্ট একটি বিমান দুর্ঘটনার মতো হতে পারে। যা ১০০ মাইলের বেশি এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়তে পারে।
শনিবার কোনো একটি সময় এটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে বলে তারা ধারণা দিয়েছেন।
গ্লোবার নিউজের খবরে বলা হয়, রকেটের বাইরের অংশের পাতলা অ্যালুমিনিয়ামের মিশ্রণ সহজেই বায়ুমণ্ডলে পুড়ে যেতে পারে। কাজেই তা মানুষের জন্য খুব একটা ঝুঁকির কারণে হবে না।
বিজ্ঞানীরা আরও জানান, রকেটের কিছু কিছু টুকরো ভূমিতে পড়তে পারে, এমনকি জনবহুল কোনো এলাকায়ও পড়তে পারে, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের জন্য কক্ষপথে চীনের হাইনান দ্বীপ থেকে গত ২৯ এপ্রিল ‘লং মার্চ ৫বি’ নামের রকেটটি তিয়ানহে মডিউল নিয়ে পৃথিবীর কক্ষপথে রওনা দেয়। তিয়ানহে মডিউল চীনের নির্মাণাধীন স্থায়ী মহাকাশ স্টেশনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। স্টেশনটির তিন ক্রুর বসবাসের কোয়ার্টার এই মডিউলটিতে করেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মোট ১১টি মিশন পরিচালনা করবে চীন। এর প্রথমটিতেই ‘লং মার্চ ৫বি’ রকেটে করে তিয়ানহে মডিউল কক্ষপথে পাঠানো হয়।