আয়ারল্যান্ড ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে

আয়ারল্যান্ড সরকার ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডকে ইসরায়েলের ‘কার্যত একীভূতকরণের’ নিন্দা জানিয়ে পার্লামেন্টের একটি প্রস্তাব সায় দিয়েছে। এতে দখলদারিত্বের নিন্দা জানিয়ে তা বন্ধ করতে ইসরায়েল সরকারের প্রতিও আহ্বান জানানো হয়েছে।

এই প্রথম ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে কোনো দেশ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এই পরিভাষা ব্যবহার করেছে। রয়টার্স, আলজাজিরা ও গার্ডিয়ান এই খবর দিয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ মে) আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিমন কোভিনি বলেন, বিরোধী দল সিন ফেইন এই প্রস্তাবটি উত্থাপন করছে। এটির মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিন নিয়ে আয়ারল্যান্ডজুড়ে গভীর অনুভূতির পরিষ্কার হয়ে উঠেছে।

মধ্য-ডানপন্থী ফিন গায়েল পার্টির সিমন বলেন, ইসরায়েলের অবৈধ বসতিস্থাপনের মাত্রা, গতি ও কৌশলের ধরন এবং এর পেছনের উদ্দেশ্য আমাদের এই সিদ্ধান্তে নিয়ে এসেছে যে, সেখানে যা ঘটছে, তা নিয়ে আমাদের সৎ থাকতে হবে। এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েল মূলত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডকে একীভূত করে নিয়েছে।

তিনি বলেন, এটি এমন কিছু না, যা আমি হালকাভাবে বলছি। ইউরোপের প্রথম কোনো দেশ হিসেবে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি। ইসরায়েলি পদক্ষেপের উদ্দেশ্য ও তার প্রভাব নিয়ে আমাদের গভীর উদ্বেগেরই প্রতিফলন এই প্রস্তাব।

যদি এটি পাস হয়, তবে এই সংশোধনীতে আয়ারল্যান্ডে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার ও ইসরায়েল ওপর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে আয়ারল্যান্ডকে।

অধিকাংশ দেশ ১৯৬৭ সালের অধিকৃত ভূমিতে ইসরায়েলি বসতিকে অবৈধ হিসেবে দেখছে । ফিলিস্তিনে শান্তি স্থাপনের যা প্রধান অন্তরায়। প্রস্তাব উত্থাপনের সময় পার্লামেন্টের অনেক সদস্যকে ইসরায়েলি পতাকা ও কুফিয়ার আদলে ফেস মাস্ক পরতে দেখা গেছে।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা গত অর্ধশত বছর ধরে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড অব্যাহত দখল করলেও সম্প্রতি তা একীভূতকরণ ও নিজেদের বলে দাবি করে আসছে ।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.