সুন্দরবনে এবারও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উঁচু জলোচ্ছ্বাসে পানিতে তলিয়ে গেছে কুমির, হরিণ ও কচ্ছপের আবাসস্থল। তবে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে একমাত্র বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র করমজল। ভবিষ্যতে বন্যপ্রাণী রক্ষায় সুন্দরবনসহ প্রজনন কেন্দ্রটির রাস্তা ও অবকাঠামো আরও উঁচু করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সুন্দরবনে প্রায় ৫-৬ ফুট পানি উঠে যায়। পানির তোড় ও ঝড়ো হাওয়ায় পূর্ব সুন্দরবনের ১৯টি জেটি, ৬টি জলযান, ওয়াচ টাওয়ারসহ বেশকিছু স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উড়ে গেছে অন্তত দশটি অফিসের টিনের চালা। ৯টি পুকুরে লবণ পানি প্রবেশ করায় সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে চারটি মৃত হরিণ। শেড ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে সুন্দরবনের করমজল প্রজনন কেন্দ্রের বন্য প্রাণী।
করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের সংযোগ সড়কে ৩ থেকে ৪ ফিট পানি উঠে যায়। অন্যান্য সময় জোয়ারে পানি ওঠে আবার তা নেমে যায়। কিন্তু এবার দীর্ঘ সময় পানি জমে ছিল। তবে সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনে কাজ করছে বন বিভাগ।
ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বারবার উপকূলবাসীকে রক্ষা করে। নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বারবার। ঝড় জলচ্ছাস থেকে বণ্যপ্রাণী রক্ষায় সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে উঁচু টিলা ও পুকুর খননের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
সেভ দ্য সুন্দরবনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে পর্যাপ্ত উচু টিলা নির্মাণ করতে হবে। যাতে করে এধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে বন্যপ্রাণীরা সেখানে আশ্রয় নিতে পারে।
সুন্দরবনের এর আগে ২০২০ সালের ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বেশকিছু প্রাণী মারা যায়।