দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চালু হলো ই-গেট। এখন থেকে যাদের ই পাসপোর্ট রয়েছে সেসব যাত্রী ই-গেট ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেতে পারবে।
বুধবার (৩০ জুন) বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ কর্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ই-পাসপোর্টের পর এবার ই-ভিসা চলু করবে সরকার।
ই-পাসপোর্ট নিয়ে বিমানবন্দরে ই-গেটে পাসপোর্ট দেওয়ার পরই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে খুলে যাবে গেট তারপর পাসপোর্টের তথ্যের সাথে ব্যক্তির ছবি মিলে গেলেই প্রধান ফটক খুলে যাওয়ার সাথে সাথে মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে শেষ হবে বিদেশগামীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম।
পাসপোর্ট অধিদপ্তর বলছে, দেশের বাকি দুই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেট স্থাপনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। ই-গেটের ফলে আগামীতে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট চালু করলে ই-গেটেই ব্যবহার করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আইয়ুব চৌধুরী।
দেশের ৭২ আঞ্চলিক পাসপার্ট অফিসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চলছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ই-পাসপোর্টের ফলে দেশে পাসপোর্ট নিয়ে হয়রানি কমে আসবে।
আগামী সময়ে ই-পাসপোর্টের সাথে দেশে ভিসা চালু করার কথা জানান মন্ত্রী। ই-পাসপোর্ট চালুর পর দেশে এখন পর্যন্ত ১০ লাখ গ্রাহককে ই-পাসপোর্ট দিয়েছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, আমরা বিমানবন্দরে আধুনিক সেবা দিতে সচেষ্ট। ই-গেটে চালুর ফলে যাত্রীরা আরও বেশি আধুনিক পদ্ধতিতে ও দ্রুত ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধুরী, ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে বেবিচকের সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) মো. খালিদ হোসেন, পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধান হলেন মনিরুল ইসলাম, শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদ-উল আহসান, বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।