তুরস্কের দাবানল নেভাতে ৩০ টন পানিবাহী দমকল বিমান গেছে ইরানের

অসংখ্য অগ্নিনির্বাপক হেলিকপ্টারও তুরস্কে পৌঁছেছে

তুরস্কের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলীয় বনভূমিতে ছড়িয়ে পড়া দাবানল নেভাতে ইরান দমকল বিমান পাঠিয়েছে। এসব বিমান থেকে মুষলধারে বৃস্টির মতো পানি ছিটানো হচ্ছে দাবানলের লেলিহান শিখায়। আঙ্কারায় নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ ফারাজমান্দ বলেছেন, ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কয়েকটি অগ্নিনির্বাপক হেলিকপ্টারও তুরস্কে পৌঁছেছে এবং সেগুলো রোববার থেকে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করবে।

এরই মধ্যে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় ১৭ প্রদেশের অন্তত ৭০ এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতির সবচেয়ে বেশি অবনতি হয়েছে আজিয়ান সাগর উপকূলবর্তী পর্যটন নগরী মারমারিসের। সেখানকার বেশ কয়েকটি রিসোর্টে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় হুমকির মুখে পড়েছে পর্যটন ব্যবসা।

দেশি বিদেশি বহু পর্যটক ও স্থানীয় অধিবাসীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দেশি-বিদেশি অগ্নিনির্বাপক পাঁচটি বিমান, ৪৫টি হেলিকপ্টার এবং ড্রোনের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে এক হাজারেরও বেশি দমকলকর্মী।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, আজারবাইজন, রাশিয়া, ইউক্রেন ও সর্বশেষ ইরান থেকে অগ্নিনির্বাপক বিমান এসে পৌঁছার ফলে দাবানল নেভানোর কাজ অনেকটা সহজ হয়েছে।

তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইরানের দমকল বিমানের ছবিসহ একটি টুইটাবার্তা প্রকাশ করেছে। এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ‘অ্যাক্সাজ’ নৌঘাঁটিতে ইরানের একটি ইলিউশন-৭৬ বিমান অবতরণ করেছে। খবর তাসনিম নিউজের।

তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ইরানের বিমানটি একসঙ্গে ৩০ টন পানি বহন করতে পারে।

 

ইরানি রাষ্ট্রদূত বলেন, বিপদ-আপদেই এক প্রতিবেশী আরেক প্রতিবেশীর কাজে লাগে।

তুরস্কের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলীয় বনাঞ্চলে গত বুধবার থেকে অন্তত ১০০টি বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসব আগুন এরই মধ্যে বিস্তীর্ণ জঙ্গলে ছড়িয়ে পড়েছে এবং দুজন অগ্নিনির্বাপক কর্মীসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন।

বহু ঘরবাড়ি ও কৃষিক্ষেত আগুনে পুড়ে গেছে এবং হাজার হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটে গেছেন। দাবানলের তীব্রতা এত বেশি যে, তুরস্কের আনতালিয়া ও মারসিন প্রদেশ থেকে ধোঁয়া গ্রিস পর্যন্ত পৌঁছে গেছে, যার দূরত্ব দাবানলের স্থান থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার।

 

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.