পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের ভিসা বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ

download (1)বাংলাদেশ পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের ভিসা দেয়া বন্ধ রেখেছে বলে জানিয়েছে দেশটির বাণিজ্য উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (টিডিএপি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এসএম মুনির। সিনেটর সৈয়দ শিবলি ফাফার্জ নেতৃত্বাধীন বাণিজ্য-বিষয়ক সিনেট স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে এমন বক্তব্য তুলে ধরেন তিনি। পাকিস্তানি সংবাদপত্র বিজনেস রেকর্ডার গতকাল এ খবর প্রকাশ করে।
বিজনেস রেকর্ডারের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের বাণিজ্য-বিষয়ক সিনেট স্ট্যান্ডিং কমিটির সোমবারের বৈঠকে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যকার বাণিজ্য-বিষয়ক আলোচনায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান বাণিজ্য কমে যাওয়ার প্রসঙ্গটি উঠে আসে। সিনেটর সৈয়দ শিবলি ফাফার্জের নেতৃত্বাধীন সিনেট স্ট্যান্ডিং কমিটির ওই বৈঠকে দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খুররম দস্তগির ও বাণিজ্য সচিবও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও টিডিএপিকে রফতানি বাণিজ্য কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। বৈঠকে সিনেট কমিটির সামনে তাদের কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে টিডিএপি। এতে বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশ-পাকিস্তান বাণিজ্য সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে। এর কারণ হিসেবে এসএম মুনির বলেন, বাংলাদেশ পাকিস্তানিদের ভিসা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তাই সার্কভুক্ত অন্য দেশগুলোর সঙ্গে পাকিস্তানের বাণিজ্য স্বাভাবিক থাকলেও বাংলাদেশে রফতানি প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।
তবে পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের ভিসা না দেয়ার খবরকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক এ প্রসঙ্গে বণিক বার্তাকে বলেন, ‘পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের ভিসা দেয়া হচ্ছে। ভিসা দেয়ার যে পদ্ধতি বাংলাদেশ অনুসরণ করে, সে পদ্ধতিতে অন্যান্য দেশের নাগরিকদের মতো পাকিস্তানিদেরও ভিসা দেয়া হচ্ছে।
বাণিজ্য-বিষয়ক সিনেট স্ট্যান্ডিং কমিটির ওই বৈঠকে আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বিষয়ে টিডিএপির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, পাকিস্তান ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানি করতে না দেয়ায় আফগানিস্তানের নেতৃত্ব ইসলামাবাদের ওপর বিরক্ত, যা সার্ক বৈঠকে দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ও সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই জানিয়েছিলেন। আফগানিস্তান পাকিস্তানের পণ্যের তৃতীয় বৃহত্তম বাজার।
উল্লেখ্য, এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে দক্ষিণ এশীয় স্যানিটেশন সম্মেলনে যোগ দিতে চেয়ে ভিসা না পাওয়ার অভিযোগ করেছিল পাকিস্তানের ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। এজন্য ঢাকায় অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেন দেশটির ঢাকাস্থ হাইকমিশনার সুজা আলম। তখন পাকিস্তান অভিযোগ করে, ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন ১০ দিন পাসপোর্ট রাখলেও প্রতিনিধিদের কাউকে ভিসা দেয়নি।
যদিও পাকিস্তানের এ অভিযোগ তখনো প্রত্যাখ্যান করেছিল বাংলাদেশ। সম্মেলন আয়োজকদের পক্ষ থেকে সে সময় বলা হয়, পাকিস্তান বারবার তাদের প্রতিনিধি পাল্টেছে এবং তারা সময়মতো ভিসার জন্য আসেননি।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.