ঢাকার গুলশানে এক ক্যাফেতে অস্ত্রধারীদের হামলায় জিম্মি পরিস্থিতি থেকে যাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে শ্রীলঙ্কার দুই নাগরিকও রয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে সঙ্কটের রক্তাক্ত অবসানের পর শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টুইট বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, “উদ্ধারকৃত জিম্মিদের মধ্যে শ্রীলঙ্কার ২ নাগরিক রয়েছেন। শ্রীলঙ্কার হাই কমিশনের কর্মকর্তা তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন, তারা অক্ষত ও নিরাপদে আছেন।”
প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ‘আল্লাহু আকবর’ বলে একদল অস্ত্রধারী গুলশান ২ নম্বরের ৭৯ নম্বর সড়কে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালালে অবস্থানরত অজ্ঞাত সংখ্যক অতিথি সেখানে আটকা পড়েন।
কূটনৈতিক পাড়ার মধ্যে অবস্থিত রেস্তোরাঁটিতে ওই সময় ইতালির বেশ কয়েকজনসহ কয়েকটি দেশের নাগরিকরাও ছিলেন বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে।
রাতে হামলার পরপরই ক্যাফে থেকে অক্ষত অবস্থায় বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন এমন একজন কর্মী বলেছিলেন, অন্তত ২০ জন বিদেশি সেখানে ছিলেন তখন।
তবে আর কোনো বিদেশি নাগরিক জীবিত উদ্ধার হয়েছেন কি না তা সর্বশেষ খবরেও জানা যায়নি।
সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ঘণ্টাখানেকের এই অভিযান শেষে ওই রেস্তোরাঁর ভেতর থেকে ১৮ জনকে নিরাপদে উদ্ধারের কথা জানান পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক।
তবে এর চার ঘণ্টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন।
পাশাপাশি অস্ত্রধারীদের ৬ জন নিহত হওয়ার এবং একজনকে আটক করার কথাও জানান তিনি।
এ ঘটনায় মোট নিহতের সংখ্যা জানা যায়নি। বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে অন্তত পাঁচজনের লাশ পাওয়ার খবর দিয়েছেন এক র্যাব কর্মকর্তা। তবে তারা জিম্মি না হামলাকারী সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
আগের রাতেই পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে নিহত হন বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন ও গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম।