টিসিবিতে তেল-চিনি-ডাল পেতে পেঁয়াজ-ছোলা কেনা ‘বাধ্যতামূলক’

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সাশ্রয়ী মূল্যের পণ্য কিনে বাস্তবে আর দাম সাশ্রয় হচ্ছে না।
কারণ, একজন ক্রেতাকে মাথাপিছু দুই কেজি করে তেল, চিনি বা ডাল কেনার জন্য এর দ্বিগুণ অর্থাৎ চার কেজি করে পেঁয়াজ ও ছোলা কিনতে বাধ্য করছেন ডিলাররা।
এ ‘প্যাকেজ’ ছাড়া তারা পণ্য বিক্রি করছে না।

সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা স্কুলের সামনে টিসিবির ট্রাকে বিক্রয়কর্মীদের সঙ্গে ক্রেতাদের এ নিয়ে বাগবিতণ্ড চলে বেশ কিছুক্ষণ।
সেখানে মনসুর হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘এরা (ডিলারের বিক্রয়কর্মীরা) চার কেজি পেঁয়াজ আর চার কেজি ছোলা না নিলে তেল চিনি ডাল দিচ্ছে না।
প্যাকেজ ছাড়া বিক্রি করছে না।
দুই কেজি তেল ও চিনির জন্য চার কেজি ছোলা ও পেঁয়াজ আমাদের গছানো হচ্ছে। এটা জুলুম।’

ফিরোজা বেগম নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘প্যাকেজ যদি নিতে হয় পেঁয়াজ ও ছোলাও দুই কেজি দেওয়া হোক।
তেল-চিনির জন্য দ্বিগুণ ছোলা-পেঁয়াজ কেন নেব?’

এদিকে পেঁয়াজ পচা অভিযোগ করে সুমন নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘চার কেজি পেঁয়াজ নিয়েছি, এর মধ্যে এক দেড় কেজি পচা।
জোর করে মানুষকে পচা পেঁয়াজ খাওয়ানো হচ্ছে!’

কেন প্যাকেজে পণ্য বিক্রি করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ডিলারের বিক্রয়কর্মী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমাদের বরাদ্দ যেভাবে, সেভাবে বিক্রি করছি।
প্রতিটি ট্রাকে ৫০০ কেজি করে তেল (৫০০ লিটার), চিনি ও ডাল দেওয়া হয়েছে। সেখানে ১ হাজার কেজি ছোলা ও পেঁয়াজ।’

তিনি বলেন, তেল ও চিনির থেকে ছোলা-পেঁয়াজ দ্বিগুণ পরিমাণে।
তাহলে আমরা এ বাড়তিটা কি বাড়িতে নেব!
প্যাকেজ ছাড়া বিক্রি করলে এসব কেউ নেবে না। ট্রাকে পড়ে থাকবে, লোকসান গুনতে হবে ডিলারকে।

এ বিষয়ে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ূন কবির বলেন, ‘পেঁয়াজ পচনশীল।
টিসিবির কাছে বেশি পেঁয়াজ থাকায় সেটা বিক্রির জন্য দেওয়া হয়েছে।
ছোলা রমজান উপলক্ষে বেশি দেওয়া হয়েছে।
যেন একটি পরিবার একবার ছোলা কিনে পুরো রমজান খেতে পারে।’

তিনি বলেন, এখন ছোলা সবার প্রয়োজনীয়। সেজন্য সর্বোচ্চ চার কেজি বিক্রি করতে বলা হয়েছে ডিলারদের। তবে কেউ না নিলে সেজন্য জোর করা যাবে না।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.