মালয়েশিয়া ভ্রমণে খরচ বাড়ছে

downloadমালয়েশিয়া ভ্রমণে খরচ বাড়ছে বাংলাদেশীদের। দেশটিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে ভিসার আবেদন ফি বাড়ানো হয়েছে জনপ্রতি ২ হাজার টাকা, যা ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে। বাংলাদেশে মালয়েশিয়া দূতাবাস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ১ আগস্ট থেকে রেফারেন্স ছাড়া ভিসা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ৪০০ টাকা, যা আগে ছিল ৩ হাজার ৪০০ টাকা। সাধারণত বাংলাদেশী পর্যটকরা এ ধরনের ভিসায় মালয়েশিয়া ভ্রমণে যান। অন্যদিকে রেফারেন্সসহ ভিসার ফিও ৫ হাজার ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিজনেস ট্রাভেলাররা এ ভিসায় মালয়েশিয়া যান।

প্রসঙ্গত, মালয়েশিয়া সরকার প্রধানত দুই ধরনের ভিসা দিয়ে থাকে। এর মধ্যে প্রথমটি হলো রেফারেন্স ছাড়া ভিসা (বিডব্লিউটিআর)। বিভিন্ন দেশে মালয়েশীয় মিশন থেকে এ ধরনের ভিসা ইস্যু করা হয়। এ ভিসার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৪ দিন অবস্থানের অনুমতি দেয়া হয়। মেয়াদ বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া ভিসার জন্য আবেদন করার আগেই ভ্রমণকারীকে ফেরার টিকিট কাটতে হবে। তবে মালয়েশিয়া ভ্রমণের পর অন্য দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে সে দেশে যাওয়ার ফ্লাইটের টিকিট থাকতে হবে।

দ্বিতীয়তটি হলো রেফারেন্সসহ ভিসা (বিডব্লিউআর)। মালয়েশীয় ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের অনুমোদনের মাধ্যমে এ ভিসা ইস্যু করা হয়। মালয়েশিয়ায় প্রবেশের আগেই মালয়েশীয় কনস্যুলেট বা দূতাবাস থেকে এ ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। কেবল ব্যবসা ও বিনিয়োগ-সংক্রান্ত ক্ষেত্রে এ ভিসা ইস্যু করা হয়। ভ্রমণটি মালয়েশীয় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে স্পন্সর করতে হবে। যে প্রতিষ্ঠান স্পন্সর করবে, সেটি অবশ্যই একটি প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান হতে হবে এবং ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টে ফর্ম ৯, ২৪ ও ৪৯ জমা দিতে হবে। এ ভিসার আবেদন করতে স্পন্সরকে জনপ্রতি ২ হাজার মালয়েশীয় রিঙ্গিত জামানত হিসেবে দিতে হবে। ভ্রমণকারী মালয়েশিয়ায় সর্বোচ্চ ৩০ দিন অবস্থান করতে পারেন। এর বেশি সময় অবস্থানের সুযোগ নেই।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.