বাংলাদেশ থেকে সরাসরি পণ্যবাহী (কার্গো) উড়োজাহাজ চলাচলে যুক্তরাজ্যের (ইউকে) নিষেধাজ্ঞা অচিরেই প্রত্যাহার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
দিল্লিতে নিযুক্ত দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ বিষয়ে ইতিবাচক প্রতিবেদন দিয়েছেন জানিয়ে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজের কার্যালয়ে ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেকের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী ও হাইকমিশনারের মধ্যকার বৈঠকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে চলমান সৌহার্দ্য ও সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
বৈঠকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেন হাইকমিশনার।
এ সময় যুক্তরাজ্যের ভিসা অফিস ঢাকা থেকে দিল্লি স্থানান্তরের বিষয়ে হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মন্ত্রী।
জবাবে হাইকমিশনার জানান, প্রযুক্তির অগ্রগতির এ সময়ে বেশিরভাগ কার্যক্রম যখন অনলাইনে সম্পন্ন হচ্ছে, তখন ভিসা অফিসের অবস্থানের চেয়ে কার্যক্রমের দ্রুততার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
ব্লেককে মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে ১০ হাজারেরও বেশি কারি হাউস পরিচালনা করছেন বাংলাদেশিরা। এর ক্রেতাদের বেশির ভাগই ব্রিটিশ। এমন রকমারি খাবারের স্বাদ পেতে ব্রিটিশ পর্যটকরা বাংলাদেশেও আসতে পারেন।
জবাবে হাইকমিশনার জানান, কূটনৈতিক পর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে দু’দেশের পর্যটকদের আসা-যাওয়া বাড়বে।
ব্লেক আরও জানান, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে আধুনিক মানের নতুন যেসব হোটেল-মোটেল নির্মাণ হচ্ছে এবং সেবার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা তার দেশ পর্যবেক্ষণ করছে।
বৈঠক শেষে রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের বলেন, আলোচনায় বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যগামী যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের সেবা ও নিরাপত্তার মান বাড়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকমিশনার। কার্গো পরিবহনের মানও উন্নত হয়েছে বলে মূল্যায়ন দিয়েছেন তিনি। তবে যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে কার্গো নিরাপত্তার বিষয়ে আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিমানবন্দরের সুপারভাইজর স্বল্পতার কথা বলে হাইকমিশনার এ বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এরইমধ্যে দিল্লিতে যুক্তরাজ্যের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর পরিদর্শন করে ইতিবাচক প্রতিবেদন তাদের সরকারকে দিয়েছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জার্মান এয়ারলাইন্স লুফথানসার পক্ষ থেকেও ইতিবাচক প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। আশা করি যুক্তরাজ্য অচিরেই কার্গো পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে।