‘বিধ্বস্ত প্লেনে ছিল সেনাবাহিনী ও বিজিবির জন্য কেনা মর্টার শেল’

গ্রিসের উত্তরাঞ্চলে কাভালা শহরের কাছে পালেচোরি গ্রামে একটি কার্গো প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে আটজন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (১৬ জুলাই) এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, প্লেনটিতে ল্যান্ড মাইনসহ সাড়ে ১১ টন সমরাস্ত্র ছিল, যেগুলোর গন্তব্য ছিল বাংলাদেশ।

তবে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) বলছে, প্লেনটিতে কোনো অস্ত্র ছিল না।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিজিবির জন্য কেনা প্রশিক্ষণ মর্টার শেল ছিল।

আইএসপিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তর (ডিজিডিপি) ক্রয় চুক্তির আওতায়, কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সার্বিয়া থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জন্য ক্রয়কৃত প্রশিক্ষণ মর্টার শেল বহনকারী একটি বিমান গ্রিসে বিধ্বস্ত হয়েছে।

ওই চালানে কোনো অস্ত্র ছিল না এবং চালানটি বিমার আওতাভুক্ত।

এদিকে সার্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী নেবোজসা স্টেফানোভিক জানিয়েছেন, আন্তোনভ অ্যান-১২ মডেলের এই কার্গো প্লেনটির মালিক ইউক্রেনীয় একটি কোম্পানি।  শনিবার এটি সার্বিয়া থেকে জর্ডানে যাচ্ছিল। এতে ল্যান্ডমাইনসহ সাড়ে ১১ টন অস্ত্র ছিল যা বাংলাদেশে যাচ্ছিল।

গ্রিসের রাষ্ট্রীয় টিভি ইআরটি জানিয়েছে, মাঝআকাশে থাকার সময় ইঞ্জিনে সমস্যার কারণে পাইলট জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানালেও পরে প্লেনটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

সার্বিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্লেনটিতে থাকা আটজন ক্রু সদস্য মারা গেছেন। রোববার (১৭ জুলাই) দুর্ঘটনাস্থল থেকে দুই দমকলকর্মীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে তাদের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।

সার্বিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানায়, প্লেনটির জর্ডান থেকে সৌদি আরব ও ভারত হয়ে বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা ছিল।

ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, আকাশে থাকতেই প্লেনটিতে আগুন ধরে যায়।  পুড়তে পুড়তে তা নিচে নামে। এটি মাটিতে আঘাত করার সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরিত হয়।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিধ্বস্ত হওয়ার দুই ঘণ্টা পরও দুর্ঘটনাস্থলে আগুনের গোলা দেখা গেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ইউক্রেন, সার্বিয়া বা জর্ডানের কাছ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.

EN