উজবেকিস্তান-ঢাকা রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ

বিশ্বজুড়ে অর্থনীতি যখন টালমাটাল তখন বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে বাংলাদেশে উজবেকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রীসহ ৩৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল। শুক্রবার (২৯ জুলাই) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতায় বিষয়ে বৈঠকে বসেন উজবেক সরকারের পক্ষে উপপ্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী। বৈঠকে দুদেশের মধ্যে পারস্পারিক আমদানি-রফতানি বৃদ্ধি ও পিপিপির বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে বাণিজ্য মন্ত্রী জানান, উভয় দেশের মধ্যে পুনরায় বিমান চলাচল, কৃষি সেক্টরে বিনিয়োগ, তুলা আমদানি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া একসময়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি বিমান যোগাযোগ ছিল স্থলবেষ্টিত দেশটির। উজবেক এয়ারে করে দেশটিকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে যাতায়াত করতেন বাংলাদেশি যাত্রীরা। কিন্তু এখন সেই সুযোগ নেই। তা আবার চালুর বিষয়ে উজবেক সরকারকে চিঠি দিয়েছে সরকার।

স্বাধীনতার তিন বছরের মধ্যে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশটিতে বাংলাদেশ দূতাবাস খুললেও গত ৫০ বছরেও বাংলাদেশে একটি কনস্যুলেট অফিসও খোলেনি দেশটি। অন্যদিকে বাংলাদেশ বিশ্বের এক নম্বর তুলা আমদানিকারক ও পোশাক রফতানিক দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলেও বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত মানের তুলা ও সুতা উৎপাদন ও রফতানিকারক দেশ উজবেকিস্তানের সঙ্গে নেই ঢাকার তেমন কোনও বাণিজ্যিক সংযোগ। এবার উজবেক সরকারকে জোর দেয়া হয়েছে বাংলাদেশে তাদের দূতাবাস খোলার জন্য। এতে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

এছাড়া উজবেকিস্তানের প্রাকৃতিক গ্যাস ও তুলা ব্যবহার করে সেখানে শিল্প স্থাপন করতে চায় বাংলাদেশ। এ জন্য তুলাভিত্তিক টেক্সটাইল গড়ে তোলাসহ দেশটিতে টেক্সটাইল, সিরামিক, ফার্মাসিউটিক্যাল, আরএমজি সেক্টরসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগে আগ্রহী বাংলাদেশ।

এদিকে জ্বালানি সম্পদে সমৃদ্ধ উজবেক সরকারের সাথে নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে কোনো কথা হয়নি জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়িক আলোচনা হয়েছে, সরকার ইচ্ছে করলে আলোচনা হতে পারে।

পরে উজবেকসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, এ বছরের শেষের দিকে ডলারের সংকট কমে আসবে। এছাড়া বৈদেশিক ঋণে সুদের পরিমাণ কম থাকায় বাংলাদেশ তেমন সংকটে পড়বে না।

তিনি বলেন, আইএমএফ এর কাছ থেকে সরকার ঋণ নিবে কিনা তা চিন্তা করছে। এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা দেয়া আছে, তারাও বাংলাদেশকে ঋণ দিতে আগ্রহী। যা ইতিবাচক হিসেবে দেখছি।

উজবেকিস্তান থেকে সার আমদানির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অপরদিকে বাংলাদেশের কাছ থেকে উজবেক সরকার টেক্সটাইল খাতের প্রযুক্তি স্থানান্তর, দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ বিষয়ে সহায়তা চেয়েছে বলেও জানানো হয়।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.