বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রতিষ্ঠার ৫১তম বছর। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বর্ষপূর্তি উদযাপন করেছে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জন্ম নেয়া বিমান বাহিনী। এই দিনটিকে ‘বিমানবাহিনী দিবস’ হিসেবেও পালন করে থাকে।
বুধবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আইএসপিআর জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন ও বিমানবাহিনী প্রতিষ্ঠা দিবস একই তারিখে হওয়ায় দিনটি আনন্দময় হয়ে উঠেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশের আপামর জনতার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিমানবাহিনীর বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তান বিমানবাহিনীর পক্ষ ত্যাগ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণের পাশাপাশি বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ও সেক্টর কমান্ডারের মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
আইএসপিআর আরও জানায়, রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনগুলোতে যুদ্ধের গতি-প্রকৃতিকে সম্পূর্ণ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য একটি স্বতন্ত্র বিমানবাহিনী গঠনের প্রয়োজনীয়তা তীব্রভাবে অনুভূত হয়।
আর এ লক্ষ্যে ১৯৭১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ভারত সরকার প্রদত্ত একটি অটার বিমান, একটি ড্যাকোটা বিমান ও একটি অ্যালুয়েট হেলিকপ্টার এবং বাঙালি বৈমানিক, কারিগরি পেশার বিমানসেনা ও বেসামরিক বৈমানিকসহ ৫৭ জন সদস্য নিয়ে ভারতের নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে ‘কিলো ফ্লাইট’ নামে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী যাত্রা শুরু করে। মহান মুক্তিযুদ্ধে ৫০টিরও অধিক বিমান অভিযান সাফল্যের সঙ্গে পরিচালনার মাধ্যমে ‘কিলো ফ্লাইট’ আমাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল।
৫১ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে বিমানবাহিনী ঢাকার আকাশে মিগ-২৯ এফ-৭ সিরিজ যুদ্ধ বিমান, সি-১৩০ পরিবহণ বিমান এবং এমআই-সিরিজ বেল-২১২ হেলিকপ্টারের সমন্বয়ে একটি মনোমুগ্ধকর ফ্লাইপাস্ট-এর আয়োজন করে।
এদিকে কিলো ফ্লাইটের সদস্যদের সাহসিকতাপূর্ণ অবদানকে সম্মান প্রদর্শনের অংশ হিসেবে বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান কিলো ফ্লাইটের অধিনায়ক ও সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান (অব.) এয়ার ভাইস মার্শাল সুলতান মাহমুদের বাসভবনে গিয়ে তার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ ছাড়া, বিমান বাহিনীর ঘাঁটি, ইউনিট ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত ব্যানএয়ার কন্টিনজেন্টসমূহে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়।