সাড়ে চার মাস পর কারামুক্ত রিজভী

সাড়ে চার মাসের বেশি সময় কারাবাসের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানের মধ্যে গ্রেফতার হওয়া দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

 

গতকাল কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা সেখানে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। রিজভীর স্ত্রী আরজুমান আরা বেগমও সেখানে ছিলেন। কারাগারের ডেপুটি জেলার আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে রুহুল কবির রিজভীর কারামুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরে রিজভী ও তার স্ত্রী তাদের মোহাম্মদপুরের বাসার উদ্দেশে রওনা হন।

রুহুল কবির রিজভী সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘গোটা দেশই এখন কারাগার। ছোট কারাগার থেকে এখন বৃহত্তর কারাগারে প্রবেশ করেছি। বর্তমানে মানুষের কোনো অধিকার নেই। ভোটের অধিকার নেই, কথা বলার অধিকার নেই। গণতন্ত্রের মুক্তি মিললেই সব অধিকার ফিরে আসবে।’ রিজভী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের বিভাগীয় সমাবেশ সামনে রেখে দলীয় কার্যালয়ের নিচে জড়ো হলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে মকবুল আহমেদ নামে একজন নিহত ও বিএনপির অর্ধশত নেতাকর্মী ও সমর্থক আহত হন। পরে পুলিশ নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে হাতবোমা উদ্ধারের কথা জানায়। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় রিজভীসহ চার শতাধিক নেতাকর্মীকে।

এছাড়া ৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকেও পুলিশ আটক করে। এক মাসের বেশি সময় কারাভোগের পর গত ৯ জানুয়ারি মির্জা ফখরুল ইসলাম ও মির্জা আব্বাস জামিনে মুক্তি পান। প্রায় পাঁচ মাস পর ৫০ মামলায় জামিনে মুক্তি পেলেন রুহুল কবির রিজভী।

রিজভীর মুক্তির সময় কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মীর সরাফত আলী সপু, ডা. রফিকুল ইসলাম, মীর নেওয়াজ আলী, আমিনুল ইসলাম, তারিকুল ইসলাম তেনজিং, মত্স্যজীবী দলের আবদুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের ডা. জাহিদুল কবির, ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.