‘আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অর্জন দেশের স্বাধীনতা’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ৭৪ বছরের পথ চলায় বাঙালি জাতির সকল অর্জনের সাথে জড়িয়ে আছে, যার সবচেয়ে বড় অর্জন বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ে, খাদ্যে ঘাটতি থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণতায় উন্নীত হয়েছে। বিশ্বে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই কারণে বাঙালির ইতিহাস লিখতে গেলে আওয়ামী লীগের নাম লিখতে হবে।

আজ শুক্রবার রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে  সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই বাঙালির স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন ও  স্বাধীনতা সংগ্রাম’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৬৬ সালে ছয়দফা দাবির মধ্য দিয়ে স্বাধিকার আদায়ের আন্দো োলন সূচনা করেন। সেই পথ ধরে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু তার মূল লক্ষ্য স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গঠিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টরগুলো গঠিত হয়েছিল, সেক্টর কমান্ডারদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এবং স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশকে পুণর্গঠন করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তাকে হত্যা করা হয়েছিল।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা যেন সেই হারানো স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্যই, যাদের নেতৃত্বে আমরা ১৯৭১ সালে স্বাধীন হয়েছি। সে কারণে এই দিনটি বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ জাতির পিতা, মহান শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়ে যাবে, ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে।

এ দিন সাংবাদিকদের কাছে আওয়ামী লীগের সূচনালগ্নের কথা বর্ণনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৪৯ সালের এই দিনে ঢাকার রোজ গার্ডেনে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে সভাপতি ও শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে আওয়ামী  মুসলিম লীগ গঠিত হয়েছিল। তৎকালীন তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। পরবর্তী সময়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে আরও শাণিত করার লক্ষ্যে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে দলের নাম আওয়ামী লীগ হয়। ১৯৫০ সালে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়, যার সভাপতি ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

স্বাধীনতাপূর্বকালেও আওয়ামী লীগ বাঙালি জাতির জন্য অনেক অর্জন বয়ে এনেছে বলে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকেই মূলত: ২১শে ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা শহীদ দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন শুরু হয়। কারণ ১৯৫২ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি পাকিস্তানি সরকার মেনে নিলেও  রাষ্ট্রীয়ভাবে তা প্রতিষ্ঠা করেনি, সেটি করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.