গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা ও ঢাকা মহানগর উত্তর তাঁতী লীগের প্রধান উপদেষ্টা আদম তমিজি হক এবার বাংলাদেশের পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলেন।
গত শনিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনরা বলছেন, দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাতে হেনেছে তার এমন কর্মকাণ্ড।
পাসপোর্ট পোরানো সেই ভিডিওতে আদম তমিজি হক বলেন, আমি আদম তমিজি হক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন নেতা ছিলাম। আওয়ামী লীগ আমার ১ হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছেন। আমাকে দেশ ছাড়া করেছে। আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর চেষ্টা করছে। যার কারণে আমি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করলাম। আমার এদেশের নাগরিকত্ব আর চাচ্ছি না। কারণ এদেশের নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা আমার নেই। চিটারি বাটপারি চুরি করতে পারিনি আমি। আমার যদি কোনো ক্ষতি হয় তাহলে আপনারা বুঝে নিয়েন কারা আমার এই ক্ষতি করছে।
তিনি তার ফেসবুকে স্ট্যাটাসে আরো বলেন,
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম এর মিথ্যা ভিডিও দেখিয়ে আমাকে তাঁর বিরুদ্ধে লাগিয়েছে, লোকাল এমপি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও তাঁর চাচা গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান (মতি) এবং ৪৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরু গংরা, আমি এক সময় তাদের সবাইকে বন্ধু ভেবে ছিলাম, কিন্তু এখন আমার ধারণা সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
উল্লেখ শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একের পর এক যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান (মতি) ও ৪৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম নুরুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে ফেসবুক লাইভ ও স্ট্যাটাস দিতে থাকেন হক গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদম তমিজি হক।
হক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদম তমিজি হক গাজীপুর বাঁচাও এরকম একটি স্লোগান দিয়ে ব্যানার ফেস্টুন করে, মানবিক সোসাইটি নামে একটি সংগঠন করেন। লোকাল এমপি ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের সাপোর্টে।
কিছু দিন পরে দেখা যায়, তাঁর ঐ সংগঠনে এমপি ও মতি কোরামের লোকজনকে সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখেন। এবং তাঁর টঙ্গীর ফ্যাক্টরিতে বিতর্কিত লোকদের চাকরি দিয়ে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে সাথে রাখেন। আরো দেখা যায়, তাঁর ঐ সংগঠনের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাঁর নিজ আইডি থেকে এবং বিভিন্ন বিতর্কিত লোকদের আইডি থেকে তাঁর সুনাম প্রচার করে আলোচনায় আসেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। এরপর আরো তিনবার লাইভে আসেন তিনি। শনিবার দিনভর এমন মন্তব্যের কারণে থমথমে অবস্থা বিরাজমান ছিলো রাজনীতি অঙ্গনে। এ ছাড়াও টঙ্গী ও গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে আদম তমিজি হকের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও কুশপুত্তলিকা দাহ করেন রাসেল সমর্থক আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।